মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কার্যত লকডাউনে অনেকটাই কমেছে করোনা আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা। চোখের সামনে পড়ে রয়েছে ফাঁকা বেড। কিন্তু তারপরেও চিকিৎসকরা বলছেন বেড নেই। নাজেহাল রোগীর ও রোগীর পরিজনরা। শহরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ঘুরে ভোগান্তির এই চিত্র নজরে পড়ল Zee ২৪ ঘণ্টার।  


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত থেকে বাদ পড়েনি এ রাজ্য। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। বেড পেতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল হয়েছেন রোগী ও তাঁর পরিজনরা। বেডের যোগান দিতে গিয়েও একই অবস্থা হয়েছে হাসপাতালগুলোর। পরিস্থিতি প্রায় হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে কোভিড বেডের সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্য দফতর। তবে কার্যত লকডাউনে ওই ছবি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমেছে। বরং বেড়ে গিয়েছে নন-কোভিড রোগীর সংখ্যা। আর তাতেই বেড়েছে ভোগান্তি। কেন? 


আরও পড়ুন:সলিসিটর জেনারেল-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এবার রাষ্ট্রপতির দরবারে তৃণমূল


অভিযোগ, রোগীর সংখ্যা কমলেও স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোভিড বেড কমানোর কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি সরকারি হাসপাতালগুলোকে। ফলে বিপাকে হাসপাতালগুলো। বিপাকে নন-কোভিড রোগীরাও। কারণ, বেড না পেয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে তাঁদের ঘুরতে হচ্ছে। হন্যে হয়ে বেডের খোঁজ করছেন তাঁরা। 


কলকাতার ৪টি সরকারি হাসপাতালের কী ছবি? ঘুরে দেখল Zee ২৪ ঘণ্টা। 


জানা গিয়েছে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মোট কোভিড বেড রয়েছে ৩০০টি। শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই হাসপাতালে ফাঁকা রয়েছে ২৪৬টি কোভিড বেড। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মোট কোভিড বেড রয়েছে ৪৩৩টি। শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই হাসপাতালে ফাঁকা রয়েছে ৩৮৭টি কোভিড বেড। এনআরএস এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কী ছবি? তথ্য বলছে, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে মোট ২৮৪টি কোভিড বেড রয়েছে। শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে ফাঁকা রয়েছে  ২৭৮ টি কোভিড বেড। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে মোট ২১৬টি কোভিড বেড রয়েছে।  শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, সেখানে ফাঁকা রয়েছে ২০৯টি কোভিড বেড।  


আরও পড়ুন: টিকাকাণ্ডে TMC নেতা-মন্ত্রীদের কেন গ্রেফতার নয়, প্রশ্ন Dilip-র; পাগলের প্রলাপ: Kunal


পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ, সোনারপুরের শুক্লা সর্দারের কথা বললে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে। জানা গিয়েছে, পেটে ব্যথা নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় এনআরএস হাসপাতালে যান ওই মহিলা। ভর্তি নেওয়ার কথা লিখেও দেন চিকিৎসক। তবে শনিবার দুপুর গড়িয়ে গেলেও বেড পাননি তিনি। পেটের যন্ত্রণা নিয়েই হাসপাতালে বসে কাতরাচ্ছেন। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এনআরএস হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ইন্দিরা দে। তাঁদের যে হাত-পা বাধা,তাও জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। বেড়েছে নন-কোভিড রোগীর সংখ্যা। তবে কোভিড বেডগুলো তাঁরা ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই বেড না থাকায় কিছুটা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নন-কভিড রোগীদের।