করোনা আক্রান্ত প্রসূতিকে বাঁচাতে `নিয়ম` ভাঙল সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতাল
মা ও সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দরকার ছিল দ্রুত সার্জারির।
তন্ময় প্রামাণিক
প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত। সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না বিএসএফ জওয়ান স্বামী! স্ত্রীকে নিয়ে ছুটলেন সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে। করোনা আক্রান্ত প্রসূতির অবস্থা দেখে 'নিয়ম' ভাঙলেন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এমার্জেন্সিতেই সারলেন অস্ত্রোপচার। মা ও নবজাতক সুস্থ।
শনিবার প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীকে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেন স্বামী। করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত যাওয়ার সময় ছিল না। এগিয়ে এলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হল প্রসূতিকে। প্রসবের সময়ে শারীরিক নানা জটিলতার কারণে তখন প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ওই তাঁর। প্রাণ বাঁচানোর জন্য দরকার ছিল দ্রুত সার্জারির। এমার্জেন্সিতে কয়েক মিনিটের মধ্যে হাজির হন প্রসূতি বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং এমার্জেন্সির চিকিৎসক দল। সময় নষ্ট না করে দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হয়। ৩ কিলো ৪০০ গ্রাম ওজনের শিশুর জন্ম দেন ওই মহিলা। মা ও শিশু সুস্থ।
বেসরকারি হাসপাতালের প্রসূতি বিশেষজ্ঞ রেণু সিং বলেন,"অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রাণ বাঁচানোর জন্য দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন ছিল। সে কারণে প্রসূতি বিভাগের ওটিতে না নিয়ে গিয়ে এমার্জেন্সিতে অস্ত্রোপচার করানো হয়।'' শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সৌম্যব্রত আচার্যর কথায়,"শিশুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক। মায়ের করোনা থাকায় তাঁর চিকিৎসা হবে সল্টলেকের হাসপাতালে।শিশুটিকে অন্য হাসপাতলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।"
ডাক্তারদের এমন উদ্যোগে আপ্লুত মহিলার স্বামী। বলেন,"আমার স্ত্রী ও সন্তানকে বাঁচানোর জন্য এমার্জেন্সিতে অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকরা। যে দ্রুততার সঙ্গে তাঁরা কাজটা করেছেন, তা নিজে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না"
আরও পড়ুন- শ্বাসকষ্টে ছটফট করছে রোগী! হাসপাতাল কর্মীরা বললেন, ''নিজের কাপড় নিজেকেই কাচতে হবে''