নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠিক ছিল রাজ্যে ৩৫৩ কেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে কোভিড টিকা। তা কমে হচ্ছে ২০৪। এর পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সিদ্ধান্ত, সপ্তাহে ৪ দিন দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় কেন ব্রেক কষছে রাজ্য? জানা গিয়েছে, কেন্দ্র থেকে যে ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) এসেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। পরের দফার ভ্যাকসিন কবে আসবে তাও স্পষ্ট নয়।  সে কারণেই টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে গণটিকাকরণ (Vaccination)। শুরুতেই প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন (Covid Vaccine)। প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন,'টিকাকরণের জন্য বাংলায় ৫.৮ লক্ষ সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্মী, ২.৫ লক্ষ পুলিস কর্মী ও ১.২৫ পুরকর্মীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।' সেই মতো ব্যবস্থাপনাও সারা। সিদ্ধান্ত হয়,৩৫৩টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে টিকা। কিন্তু,ভ্যাকসিন যা এসেছে তাতে নথিভুক্ত সকলকে এখনই ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়।


কোনও ব্যক্তিকে দু'বার দিতে হবে কোভিড ডোজ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ডোজ এসেছে রাজ্যে। তাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের সকলকেই প্রথম ডোজ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ কবে আসবে তা এখনও জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সে নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে 'ধীরে চলো নীতি'তে হাঁটতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। যে পরিমাণ ভ্যাকসিন রাজ্যে এসেছে, সেটাই আপাতত দু'টি ডোজে দেওয়ার কথা ভেবে এগানো হচ্ছে। সেজন্যে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৫৩ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২০৪। সপ্তাহে ৪ দিন দেওয়া হবে টিকা।      


প্রসঙ্গত, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাথমিকভাবে সরকারকে ১.১ কোটি ডোজ দেবে তারা। প্রতি ডোজের দাম পড়ছে ২০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রথম ধাপে ৩ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। তার খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।  


আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন বন্টনের কাজ শেষ, শনিবার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনায় মমতা