নিজস্ব প্রতিবেদন: ৪ নয়, রাজ্যের ১০ জেলা রেড জোনের আওতায়। রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রের নয়া তালিকা ঘিরে এবার চরমে সংঘাত। আচমকাই কেন বদল তালিকায়? প্রশ্ন করে কেন্দ্রকে ফের চিঠি দিলেন বিবেক কুমার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি পরিদর্শন ঘিরে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের একটা চাপা বাদানুবাদ চলছিল। এবার সংঘাত চরমে উঠল করোনায় রেড জোন চিহ্নিত করে কেন্দ্রের পাঠানো নয়া তালিকায়। এই তালিকায় মূলত রাজ্যের ১০ টি জেলাকে রেড জোনের আওতায় দেখিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যের দাবি, প্রথমে কেন্দ্র রাজ্যের চারটি জেলা-কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনাকেই রেড জোনের আওতায় দেখিয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রেড জোন অর্থাত্,  কত দিনে সংক্রামিতের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, কত জন সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসছেন, কোথায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি তার ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তাতে দেখা যায়, কলকাতাতেই  সংক্রমণের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। এই চারটি জেলার ওপর অতিরিক্ত নজরদারির পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মোতাবেক রাজ্য প্রশাসনও তত্পর ছিল। রেড জোনগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারি চলছে। কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে লকডাউন। পরীক্ষার হারও বাড়ানো হয়েছে।
এরইমধ্যে চলে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহের কাজ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান প্রতিটি রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের সংশোধিত রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনের তালিকাও।  যা অত্যন্ত আশঙ্কার ইঙ্গিতও দেয় বটে! কেন্দ্রের ওই তালিকা অনুযায়ী, এ রাজ্যের ১০টি জেলা রয়েছে রেড জোনের ভিতর। ৫টি রয়েছে অরেঞ্জে এবং ৮টি গ্রিন জোনে রয়েছে।



কেন্দ্রের নয়া তালিকায় আগের চারটি জেলার সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদা যোগ করা হয়েছে।
রাজ্য মনে করছে, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের যে শাখা উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছিল, তাদেরই রিপোর্টের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর তাতে গড়মিল রয়েছে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য।  এই তালিকা ঘিরে ফের রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত চরমে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেছেন, "কেন্দ্র আগে অন্য তালিকা দিয়েছিল। সেই মোতাবেক কাজ হচ্ছে, এখন আবার অন্য তালিকা। বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। রাজ্য এর বিরোধিতা করে চিঠি পাঠিয়েছে।"