নিজস্ব প্রতিবেদন: টেস্ট, টেস্ট আর টেস্ট- করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একমাত্র এই মক্ষম অস্ত্রটাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নমুনা পরীক্ষা যত বেশি হবে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছবিও হবে তত নিখুঁত। এবার তাই কেরলের থেকে শিক্ষা নিয়ে পুল টেস্টিং-এর পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেকথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
আইসিএমআরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,  সারা দেশে এক দিনে করোনা পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেস্টের পরিমাণ না বাড়ানো হলে, করোনাকে কাবু করা যাবে না। রাজ্য দাবি করছে, কয়েকটি সমস্যা প্রাথমিকভাবে ছিল, তার মধ্যে প্রধান হল কিটের সমস্যা। তবে তা কাটিয়ে উঠে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে র্যাপিড টেস্টও করবে সরকার। কিন্তু তাতে বেশি সংখ্যক কিটের প্রয়োজন। কিট পেলেই তা করা হবে।



বিকল্প হিসাবে পুল টেস্টিং-এর পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। কী এই পুল টেস্টিং?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধরা যাক. একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পাঁচ জনের একসঙ্গে নমুনা সংগ্রহ করা হল। এরপর সেই নমুনা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি নমুনা তৈরি করা হল। তারপর সেটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হল। যদি পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে, তাহলে ধরে নেওয়া যাবে ওই পাঁচ জনেরই করোনা সংক্রমণ নেই।
সেক্ষেত্রে এক এক জন পরীক্ষা করতে গেলে, বেশি সংখ্যক কিটের প্রয়োজন হত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এইভাবে পরীক্ষা করলে যেখানে একটি ল্যাবে দিনে একশো জনের পরীক্ষা করা যেত, সেখানে পাঁচশো জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, যদি ওই পাঁচ জনের একত্রিত নমুনার ফল পজেটিভ আসে, তাহলে কী করা হবে?
সেক্ষেত্রে ওই পাঁচ জনের নমুনা আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন কোন এলাকায় পুল টেস্টিং চালু করা হবে?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে সব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশেরও কম, মূলত সেই সব এলাকায় পুল টেস্টিং চালু করা হবে। উপসর্হ নেই, এমন আক্রান্তদের চিহ্নিত করতেই এই পুল টেস্টিং-এর ব্যবস্থা
এর ফলে একদিকে যেমন দিনে অনেক বেশি সংখ্যায় পরীক্ষা করা যাবে, তেমনি, লোকসংখ্যাও কম লাগবে, টাকাও বাঁচবে।
মূলত এই পদ্ধতিতেই করোনাকে কার্যত সুফল পেয়েছে কেরল।