মৌমিতা চক্রবর্তী: গোরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করল সিবিআই। বুধবার  সকাল দশটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের একটি টিম। বাড়ির সামনে বেশকিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তাঁর ঘরে ঢোক সিবিআইয়ের টিম। তারপর বেশকিছুক্ষণ জিজ্ঞসাবাদের পর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁকে নিয়ে য়াওয়া হয়েছে আসানসোলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। এনিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমরা যেটা মনে হয়েছে তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি ও অসততা থেকে দলকে দূরে রাখতে চাইছেন। আমার ব্যক্তিগত কোনও অবস্থান নেই। দলের অবস্থানই আমার অবস্থান। দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে দল তাকে সাহায্য করবে না। অনুব্রতকে অনেকবার সিবিআই ডেকেছিল। সে যায়নি। সিবিআইতে না যাওয়াটা নিশ্চয় অন্যায়। ডাকলে যাব না কেন? আমি গিয়েছি, অভিষেক গিয়েছে। অভিষেকের স্ত্রী গিয়েছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে বলা যায় এমন কোনও মন্তব্য করব না। বাড়িতে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওর শরীর খারাপ। সবটাই তদন্তের ব্যাপার। এখনই কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে সবকিছু দেখলাম। এটুকুও বুঝলাম বল খুব দ্রুত গড়াচ্ছে। তৃণমূল র কর্মীদের বলব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আসুন রাস্তায় নামি। বিজেপিকে বলব এর পরেও জিততে পারবেন না।  কেষ্টর জন্য চিন্তা হচ্ছে।। ওর পরিবারের ওপরে ঝড় বইছে। তবে কেউ অন্যায় করলে দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বলব, এক হও। সুজন সেলিমরা কি বলছে কিছুই এসে যায় না। আমরা দাঁড়ালেই ৫০০মানুষ ভিড় করবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Anubrata Mandal Detained: মমতা এখন কোথায়; বিবৃতি দিন, অনুব্রতর আটকে সরব সুজন


অনুব্রতর আটকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এসএন ব্যনার্জি রোডে কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বে গুড়া বাতাসা বিলি করা হয় পথচারীদের মধ্যে। বাজানো হয় ঢাক। পাশাপাশি অনুব্রতর আটক নিয়ে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। যে হাটে মগুর মাছ বিক্রি করতো। সে এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। অনুব্রত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি। কার নির্দেশ গোরু পাচার, বালি পাচার, কয়লা পাচার, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বেশকিছু মানুষকে খুন করা হয়েছে তা বেরিয়ে আসুক। আশা করব উনি যার নির্দেশে ওইসব কাজ করেছেন আর মুড়ির টিনে টাকা পাঠিয়েছেন তাদের নামগুলো বলবেন।


অন্যদিকে, অনুব্রত নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন,গুজরাটে দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সেই রাজ্যের মন্ত্রিসভা কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? কিন্তু আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে, দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে বিজেপি কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনা সদ্য ঘটেছে। গোটা বিষয়টি দল লক্ষ্য রাখছে। ঠিক সময় সরকার তার সিদ্ধান্ত জানাবে। কিন্তু পাশাপাশি এটা কি বলা যায় সিবিআই নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে?


অনুব্রতকে সিবিআইয়ের আটক নিয়ে সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, অনুব্রতর আটকের পেছনে রয়েছে একটি বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও চক্রান্তষ এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের যিনি মাথা তার দিকে হাত বাড়াতে হবে। এই দুর্নীতির মক্ষীরানী হলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিকঠাক তদন্ত হলে মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেফতার হতে হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)