পিয়ালি মিত্র: গোরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি হদিশ পেতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হচ্ছে সিবিআইকে। বরং তারা মনে করছেন অনুব্রতর যেসব সম্পত্তি রয়েছে তা রয়েছে বেনামে। এমনটাই তদন্তসংস্থা সূত্রে খবর। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ উঠে আসছে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার নামে বেশকিছু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই সূত্রে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞসাবাদ করতে চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নজরে রয়েছে জেলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজন নেতাও। গোরুপাচারের টাকা অনুব্রতর কাছে গিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অনুব্রতর গ্রেফতারের আগে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। তার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি গোরু পাচারচক্রের মাথা বলে যাকে মনে করা হচ্ছে সেই এনামুল সেখকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার। সেই সূত্রেই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাঁকুড়ায় ফের তেরঙা যাত্রায় বাধা? পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি কর্মীদের


কীভাবে গোরু পাচার করা হতো তাও জানতে পেরেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মালদহ-মুর্শিদাবাদ সীমান্তের দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফ আধিকারীক সতীশ কুমার। সেই সময় মোট ২০ হাজার গোরু ধরা পড়ে। কিন্তু পাচারের জন্য কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং আটক করা গোরুগুলিকে বাছুর হিসেবে দেখানো হয়। এবার ওইসব গোরুগুলিকে কম দামে নিলাম করা হতো এবাং তা বিক্রি করা হতো গোরুপাচারে মূল অভিযুক্ত এনামূল হককে। এর জন্য প্রতি গোরুতে সতীশ কুমার পেতেন ২০০০ টাকা। শুল্ক দফতরের আধিকারিক পেতেন ৫০০ টাকা।


নিলামে যেসব গোরু কেনা হতো তা চলে যেত বীরভূমের ইলামবাজারের গোরুর হাটে। প্রতি শনিবার বসে সেই হাট। সীমান্ত থেকে আসা গোরুগুলি ইলামবাজার আসা ও তা মুর্শিদাবাদ সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্যে দিতে হতো বিপুল টাকা।  গোটা অপারেশনটা দেখাশোনা করত অনুব্রত প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। কিন্তু তার পর কী? সেই বিপুল টাকা কোথায় যেত? অনুব্রতর মতো কোনও প্রভাবশালীর কাছে সেই টাকার ভাগ যেত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে কার নির্দেশে সায়গল বা এনামূল ওই কাজ করতো তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর ৪৫টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। ওইসব সম্পত্তি কিছু অনুব্রতর নামে, কিছু রয়েছে সায়গলের নামে, কিছু আবার অনুব্রতর পরিবারের অন্য কারও নামে। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার নামেও রয়েছে দুটি সংস্থা। 


এদিকে, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে জেলার দায়িত্বে কে? সংগঠন চলবে কাদের নেতৃত্বে। সেসব নিয়ে কথা বলতেই আজ বোলপুরে বসেছে জেলা তৃণমূলের বৈঠক। জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন অনুব্রত। এমনটাই সূত্রের খবর। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)