মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লাগামছাড়া জীবনযাপনের খেসারত দিতে হল সিপিআইএমের কলকাতা জেলা কমিটির দুই নেতাকে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগে কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় এবং সদস্য সৌম্যজিত্ রজককে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল দল। আগামী ১৫ নভেম্বর এই সিদ্ধান্ত সিপিএমের জেলা কমিটিতে পাশ হলে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে কমিশন গঠন করা হবে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর।


উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ব্যাভিচারী জীবনযাপনের অভিযোগে সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি, যৌন কেলেঙ্কারি-সহ দলীয় অনুশাসন ভঙ্গের একাধিক অভিযোগ ছিল প্রাক্তন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। এবার সেই একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন দলের আরও ২ তরুণ নেতা। কলকাতা জেলার প্রাক্তন ছাত্রনেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমজিত্ রজকের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে ফের একবার সরগরম আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দলীয় সূত্রের খবর, অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন দুই নেতাই।


আরও পড়ুন- রথযাত্রার অনুমতি এখনও মেলেনি, আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপির


মাস কয়েক আগে কৌস্তভ এবং সৌমজিত্-এর  ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের যে দু’টি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, তার সত্যতা মেনে নিয়েছেন সৌম্যজিত্ ও কৌস্তভ। আলিমুদ্দিন সূত্রে এমনই খবর। তাঁদের বিরুদ্ধে যে একাধিক লিখিত অভিযোগ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জমা পড়েছে সেগুলোর ভিত্তিতেই জেলা নেতৃত্ব তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরও পড়ুন- কোচবিহারে জেলা পরিষদ গঠন নিয়ে ক্ষোভ, স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও!


অতীতে ঋতব্রতকাণ্ডের সময় দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, সিপিএমের মতো শৃঙ্খলাবদ্ধ দলেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জেলা সিপিএমের একাংশ মনে করছে, এবারও তাঁর অন্যথা হবে না। বিশেষ করে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে শীর্ষ নেতৃত্বের হাত কাঁপবে না, মত  দলেরই একাংশের। সেক্ষেত্রে কেবল তিন মাসের জন্য প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড করা নয়, কৌস্তভ এবং সৌমজিত্-কে পাকাপাকিভাবে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিফহাল মহল।