ওয়েব ডেস্ক: নেতারা বাঁশিমুখে রাস্তা দিয়ে ছুটতেই শয়ে শয়ে কর্মী পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন সামনে। তারপর ২৪ ঘণ্টা ধরে প্রশাসনের সমস্ত অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে আন্দোলন জারি রাখল সিপিএম। দীর্ঘদিন বাদে কলকাতার রাজপথে দেখা গেল এক অন্য সিপিএমকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শেষ দেখা গিয়েছিল নবান্ন অভিযানে। লড়াইয়ের সামনে নেতারা। পিছনে বিশাল কর্মী বাহিনী। ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে যায় পুলিসের সব ব্যারিকেড। তারই জেরে আচমকা লালবাজার অভিযান। সেদিনও রক্ত ঝরে রাজপথে। ওই শেষ এরপর দীর্ঘ কয়েকমাস সিপিএম পথে থাকলেও অনেকটাই যেন নিয়মরক্ষা। পুলিসের অনুমতি নিয়ে আইন অমান্যের মতো। মিছিল হয়েছে ,বড় সমাবেশও হয়েছে কিন্তু তারপরেও কোনও ইস্যু নিয়ে আন্দোলন জমাট বাধাতে পারেনি সিপিএম। বৃহস্পতিবার হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার মতোই বাঁশি বাজাতে বাজাতে পথে নেমে পড়েন কান্তি ,সুজনরা। পেছনে ছুটেছেন সিপিএমের কর্মীরা। পুলিসের বাধা ভেঙে কখনও খন্ডযুদ্ধ করে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে গেছেন ছাত্র, যুব, মহিলারা।কখনও বসে পড়েছেন রাস্তায়, সবাইকে ঠেলে স্লোগান দিতে দিতে উঠে পড়েন প্রিজন ভ্যানে। তারপর জমাটি শীতের রাতটা কেটেছে লালবাজারের লকআপে। লালবাজার থেকে আলিপুর প্রিজন ভ্যানের মধ্যে বসেই স্লোগান দিয়েছেন নেতা কর্মী সকলে। আর এই ২৪ ঘণ্টায় ঝড় বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেস বুক থেকে হোয়াটস অ্যাপে ঘনঘন ক্লিক। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য পাঠানো হয় হোয়াটস অ্যাপে। ফেসবুকের মাধ্যমে আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন- ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল জয়প্রকাশ মজুমদারের


বিনা নোটিসে সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে আদালত চত্বরে। স্লোগান, মিছিল, ধর্না, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সবকিছুর জন্যেই যেন তৈরি ছিলেন সিপিএমের কর্মীরা। কিছুদিন আগেও যে সিপিএম থেকে হুড়মুড়িয়ে একদল জনপ্রতিনিধি ঢুকে পড়ছিল তৃণমূল শিবিরে। আর নেতারা ঠান্ডা ঘরে বক্তৃতা দিয়েই আন্দোলনের রেশ ধরে রাখতে চাইছিলেন এযেন তার থেকে বেরিয়ে আসা অন্য এক সিপিএম।


আরও পড়ুন- ইউ-টার্ন নিল শীত, পারদ নামল ২ ডিগ্রি