নিজস্ব প্রতিবেদন: 'রাজ্য সরকারের কি কাজের খতিয়ান দেওয়ার মতো কিছুই নেই?' বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই Vote on Account পেশের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। 'ভারতের সংবিধান ও স্বাধীনতার মূলে কুঠারাঘাত করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়', হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে মুখ্য়মন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Mazumder)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিয়রে বিধানসভা ভোট (Assembly Election)। অধিবেশন বসলেও, এবার বিধানসভায় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করার সুযোগ নেই। রীতিমাফিক ৫ ফ্রেরুয়ারি বিধানসভায় Vote on Account পেশ করবে সরকার। তারপর সেই Vote on Account-র  উপর আলোচনা চলবে ৬ ও ৭ তারিখ। ৮ ফ্রেরুয়ারি Vote on Account  হয়তো পাস যাবে, তবে ভোটাভুটির সম্ভাবনাও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বস্তুত, ৫ ফেব্রুয়ারি ও ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা সমস্ত বিধায়ক ও মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে ইতিমধ্যেই হুইপও জারি করেছেন তৃণমূল।


আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনের শুরু ও শেষের দিন বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি TMC-র


তবে ভোটের বছরে রাজ্য়ের বিধানসভা একটি নজিরবিহীন ঘটনাও ঘটে চলেছে। এবারের অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই Vote on Account পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লোকসভায় নজির থাকলেও, রাজ্য বিধানসভায় এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'এটা নতুন কোনও অধিবেশন নয়,চলতি অধিবেশন। তাই সাংবিধানিক রীতি মেনে রাজ্যপালকে আর অধিবেশনে ডাকার কোনও প্রয়োজন নেই।'  এর আগে সেপ্টেম্বর বিশেষ অধিবেশন বসেছিল বিধানসভায়। স্পিকারের দাবি, সেই অধিবেশনের জের চলছে এখনও। নতুন করে আর অধিবেশন ডাকা হয়নি।


আরও পড়ুন: 'আমরা ছিলাম আছি থাকব', Netaji Indoor-এ পুলিশের অনুষ্ঠানে বার্তা Mamata-র


গোটা বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে বিরোধীরা? বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, 'সংসদীয় রীতি অনুযায়ী বিধানসভা বছরের প্রথম অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ পাঠ করা হয়। রাজ্য়পালের ভাষণ মানে সরকারের এক বছরের কাজের খতিয়ান। তারপর ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণের নামে আলোচনা বিশ্লেষণের সুযোগ থাকে। সকলে নিজের কথা বলতে পারে। এটা বিধানসভার সদস্যদের অধিকার। রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া Vote on Account  পেশ করে সদস্যদের অধিকার খর্ব করতে চাইছে সরকার।' তাঁর আরও বক্তব্য, 'সরকার তো আগ্রহ দেখাবে যে বিধানসভার সদস্যদের মাধ্যমে কাজের খতিয়ান মানুষকে জানানো হোক। তাহলে এই সরকারের কাজের খতিয়ান দেওয়ার মতো কিছুই নেই, তাই রাজ্য়পালকে এড়িয়ে যাচ্ছে?'  বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jay Prakash) কড়া প্রতিক্রিয়া, 'ভারতীয় গণতন্ত্রই বলুন কিংবা সংবিধান, সকলেরই পক্ষেই এটা বিপজ্জনক। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব। ভারতের অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার মূলে কুঠারাঘাত করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'