নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে রাজ্যে ২০টি আইটি সংস্থা, উইপ্রো, ইনফোসিসের মতো সংস্থাকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান হতে চলেছে রাজ্যে। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম-বিজেপি। দুই দলের অভিযোগ, ভোটের আগে কর্মসংস্থান নিয়ে রাজনীতি করছেন।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন,''এটা খেলা-মেলা-মোচ্ছবের সরকার। গত ১০ বছরে মেলার কোনও অভাব দেখিনি আমরা। এ রাজ্যে মেলা হয়েছে। মেলার মধ্যে দিয়ে কতটা কর্মসংস্থান হয়েছে, সেটা সরকারি পরিসংখ্যানই বলে দেবে। বহু সফটওয়্যার কোম্পানি রাজ্য থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। কারণ শিল্পের জন্য রোডম্যাপ নেই। জমি নীতি নেই। এই সরকার এসইজেড বিরোধী। তারা বলেছে, আমরা এসইজেডে বিশ্বাস করি না। এসইজেড বাংলায় হবে না।''   


সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর কথায়,''যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোন কোনটা রেখেছেন? এতদিন বলেছিলেন, ১০০ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে কিছু হয়নি। সে কারণে দুয়ারে দুয়ারে সরকারকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আবোল-তাবোল কথা বলা বন্ধ করুন। আজ যা যা বলেছেন, ২০২২, ২০২৬ সালে কী হবে, সে সব বলছেন। একুশ সালের জুন মাসে কাজ শুরু হবে। ২০১৩ সালে শেষ হবে। সেটা বলার ওঁর এক্তিয়ার নয়। ওঁর এক্তিয়ার  মার্চ মাসের মধ্যে কোনটা চালু করছেন? গত ১০ বছরে কর্মসংস্থান ধ্বংস করলেন। সাড়ে ৫ লক্ষ সরকারি শূন্য পদ। কবে পূরণ হবে? লাখো লাখো ছেলেমেয়ে চুক্তির কাজে। মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ২২ সালে ২৪ সালে ২৮ সালে কী হবে, সে সব বলছেন।''  


ভোট রাজনীতিতে চাকরি যে ইস্যু হবে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। রাজ্যে ৪০% ভোটারই ৩৫ বছর বা তাঁর কম বয়সী। তাঁদের কাছে মূল ইস্যু কর্মসংস্থান। রাজনৈতিক মহল বলছে, এই ভোটারদের ভোট যাঁর, সরকারও তাঁর। 


আরও পড়ুন- রাজ্যে উইপ্রো, ২০টি আইটি, স্টার সিমেন্টের ইউনিট, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর