নিজস্ব প্রতিবেদন: নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বামপন্থী অর্থনীতিবিদ আখ্যা দিয়ে নিশানা করেছেন পীযূষ গোয়েল ও রাহুল সিনাহারা। তাঁদের মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর কটাক্ষ, দেশের অর্থনীতি নিয়ে যাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন, তাঁদের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন প্রথমে পীযূষ গোয়েল, তারপর রাহুল সিনহা বিঁধেছেন অর্থনীতিবিদ  অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তারপরই সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএম। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কথায়,''দেশের অর্থনীতি সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। দেশজুড়ে যারা জাতিবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তারা নোবেল জয়ী কৃতীর সম্পর্কে এরকম কুরুচিকর মন্তব্য করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।'' সিপিআই (এমএল) লিবারেশন বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, রাহুল সিনহার মন্তব্য নারীবিদ্বেষী। শালীনতার সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন। যে ভাষায় পীযূষ গোয়েল অভিজিতবাবুর চিন্তাভাবনা নস্যাত্ করেছেন, তা হাসির উদ্রেক করে। 



অভিজিৎকে অভিনন্দন জানিয়ে এদিন পীযূষ গোয়েল বলেন,''নোবেল পাওয়ার জন্য ওনাকে শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু আপনারা সকলেই জানেন, উনি বামপন্থী মানসিকতার।'' কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কথা স্মরণ করিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন,''উনি ন্যায় প্রকল্পের গুণগান গেয়েছিলেন। ভারতের মানুষ ওনার মতকে খারিজ করে দিয়েছে।'' তারপর বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বলেন, ''বামপন্থী অর্থনীতি এদেশে চলে না। মানুষ বামপন্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশে কোথাও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্ব কাজে লাগতে পারে। তবে ভারতে দারিদ্র দূর করতে উনি কোনও কাজে আসবেন না। ভারতে মহাত্মা গান্ধীর নীতিতেই আর্থিক উন্নতি সম্ভব।''      


লোকসভা ভোটে শিরোনামে এসেছিল কংগ্রেসের ন্যূনতম আয় যোজনা বা ন্যায়ের প্রতিশ্রুতি। দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষকে মাসে ৬ হাজার থাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল রাহুল গান্ধী। ওই প্রকল্পটির বিরোধিতা করেছিল বিজেপি। দেশের রাজকোষে টান পড়বে বলে পাল্টা প্রচার করে তারা। ন্যায় প্রকল্পে ইভিএমে লাভবান হয়নি কংগ্রেস। মেলেনি সুফলও। কিন্তু ওই প্রকল্পটি দেশের দারিদ্র দূরীকরণে সফল হতে পারে বলে মনে করেছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। নোবেল জয়ের পর অভিজিৎকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ''ভারতের আর্থিক উন্নয়নে ও দারিদ্র দূর করতে ন্যায় প্রকল্পের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন অভিজিৎ। তার বদলে এখন চলছে মোদীনীতি। যা দেশের অর্থনীতিতে ধ্বংস করছে। বাড়ছে দারিদ্র।'' 


আরও পড়ুন- প্রথমে গুলি, তারপর ছুরি দিয়ে নলি কেটে খুন করা হল লখনৌয়ের হিন্দুত্ববাদী নেতাকে