`ফাটা বাঁশে তৃণমূল`, কলকাতায় অমিতের সভার অনুমতি কে দিল? প্রশ্ন সিপিএমের
১ মার্চ শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত শাহের কলকাতা সফরে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএমের ছাত্র-যুবরা। শহিদ মিনারে অমিতের সভার অনুমতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে শর্তসাপেক্ষে পুলিসের অনুমতি মিলেছে। কীভাবে শাহকে সভার অনুমতি দেওয়া হল? প্রশ্ন তুলল সিপিএম। যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন,''অমিত শাহ এরাজ্যে স্বাগত নন। কে অনুমতি দিল সভার?'' মমতা-মোদী আঁতাঁতের অভিযোগ করেছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
ভুবনেশ্বরে ৫টি রাজ্যের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এদিন পুরীতে পুজো দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী-মমতা আঁতাঁত বোঝাতে ওই আন্তঃরাজ্য বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন সুজন চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন,''অমিত শাহকে সভার অনুমতি কে দিল? সোজা মন্দিরে পুজো দিয়ে অমিত শাহকে পুজো দিতে চাইছেন!''
দিল্লির হিংসা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ সুজনের। বলেন,''অমিত শাহের হাতে গুজরাটের রক্ত লেগে আছে। তাঁকে স্বাগত জানানো হবে না। পুলিসের বদনাম করাচ্ছেন কেন? পরিকল্পনা করে করানো হল এটা। এটা কার দায়িত্ব ছিল? সুপ্রিম কোর্টকেও কীভাবে পকেটে পোরা যায়, সেই চেষ্টা করছেন মোদী। রাবণের মনোভাব নিয়ে ছাড়খার করতে চাইছে।''
সুজনের সুরে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিই এনআরসি-র বিরুদ্ধে হলে অমিত শাহকে অনুমতি দিলেন কী করে? ওরা আসলে বিজেপির সঙ্গে টেবিলের তলায় বোঝাপড়া করছে। বাংলায় অশান্তির বীজ ছড়াতে চাইছে। তৃণমূল ফাটা বাঁশে আটকে রয়েছে।''
১ মার্চ শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভা। ওই দিন শহরে অমিতকে কালো পতাকা দেখানোর পরিকল্পনা করেছে সিপিএমের ছাত্র-যুবরা। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন,''কালো পতাকা দেখিয়ে দাঙ্গাবাজ অমিত শাহকে স্বাগত জানাব। ওনাকে কলকাতায় এলে ভয়ে থাকতে হবে। কলকাতার মাটিতে অমিত শাহ ধর্মের বীজ পুঁততে দেব না।'' ডিওয়াইএফআই রাজ্যসম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের কথায়,''নরেন্দ্র মোদীকে যেভাবে বাংলায় স্বাগত জানানো হয়েছিল, সেই ভাষাতেই অমিত শাহকে স্বাগত জানান হবে।''
আরও পড়ুন- তুমি-আমি নীরব-বধির, দিল্লির হিংসা নিয়ে ৩টি ভাষায় কবিতা লিখলেন মমতা