CPM-র জেতা সব আসন গিয়েছে TMC-তে! ভোট বিপর্যয়ের `দায়` ঝেড়ে ফেলল বাম-নেতৃত্ব
রাজ্য কমিটি পেশ অভ্যন্তরীণ খসড় রিপোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোট নজিরবিহীন বিপর্যয়। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বামশূন্য বিধানসভা। অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দায় কার্যত ছেড়ে ফেলল দলীয় নেতৃত্ব। এমনও দাবি করা হল যে, গতবারে বামেদের জেতা ৫২টা আসনে জিতেছে তৃণমূল! রিপোর্টে নেতিবাচক মূল্যায়ণ দেখা গেল দুই শরিক কংগ্রেস ও ISF সম্পর্কেও।
গতকাল, দলের রাজ্য় কমিটির বঙ্গ নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। বলেছিলেন, 'সততাই বামপন্থীদের আদর্শ। আমাদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেনি। সেখানে বিচ্যুতির দায় নেতৃত্বকেই নিতে হবে। শুধুমাত্র আদর্শের মাপকাঠিতে সৎ প্রার্থী দিলেই চলবে না।' সূত্রের খবর, নেতৃত্বকে রীতিমতো ধমকও দিয়েছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। এদিন বৈঠকে পেশ করলেন ২৪ পাতার অভ্যন্তরীণ খসড়া রিপোর্ট।
আরও পড়ুন:জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে নয়া মোড়! 'মৃত' অমৃতাভই 'জীবিত' হয়ে ফিরে আসেন, দ্বন্দ্বে CBI
সেই রিপোর্টে কি বলা হল? বাম নেতৃত্বের মতে, 'সংযুক্ত মোর্চা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। এমনকী, বামপন্থী ভোটারদের একাংশ সংযুক্ত মোর্চা ভবিষ্যতে বিকল্প হিসেবে ভূমিকা নিতে সমর্থ হবে, এই প্রশ্নে যথেষ্ট সন্দিহান ছিলেন'। কিন্তু কেন? রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'সংযুক্ত মোর্চার শরিক কংগ্রেস ও আইএসএফের পরস্পর সম্পর্কে মন্তব্য জনগণের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে'।
আরও পড়ুন:প্রেসিডেন্সি জেলে তোলাবাজি চক্র! হাতেনাতে ধরা পড়ল কুখ্যাত দুষ্কৃতী গুঞ্জন ঘোষ
ভোটের বিপর্যয়ের পর কিন্তু সংযুক্ত মোর্চায় আইএসএফের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে জেলা কমিটিগুলি। যদিও গতকাল বৈঠকে জোট ধরে রাখার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন খোদ ইয়েচুরি। অভ্যন্তরীণ খসড়া রিপোর্টেও সেকথা উল্লেখ করা হল। স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল, 'প্রথম থেকে এই মোর্চা নিয়ে আন্তরিকভাবে এগিয়েছে দল। জোট ভাঙার দায় সিপিএম নেবে না। অন্য় দল তাদের মতো সিদ্ধান্ত নিক।