নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর থেকে তরুণ নেতাদের আরও বেশি করে সামনে আনার দাবি উঠেছিল সিপিএমের অন্দরে। সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে বদল আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সেই মতো রাজ্য কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হলেন পরেশ পাল, সৈয়দ হোসেন, অলকেশ দাস, ময়ুখ বিশ্বাসরা। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি চেয়ে নিয়েছেন নৃপেন চৌধুরী, দীপক দাশগুপ্ত, গৌতম দেব ও মানব মুখোপাধ্যায়।             


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর সিপিএমের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। সদ্য লোকসভা ভোটে পূর্ণ হয়েছে ষোলো কলা। বিরোধী পরিসর দখল করে ফেলেছে বিজেপি। ৩৪ বছর শাসন চালানো বামেরা কোথাও লড়াইয়েই ছিল না। পক্ককেশী নেতাদের ভবিষ্যত তখনই উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। দলের মধ্যেই আওয়াজ উঠেছে, নতুনদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেন? সীতারাম ইয়েচুরিও তা মেনে নিয়েছিলেন। স্পষ্ট করেছিলেন, বদল আনা হবে সংগঠনে। আসবেন তরুণ নেতারা। বরাবরই ইয়ং ব্রিগেডের পক্ষে সমর্থন দিয়ে গিয়েছেন গৌতম দেব।। শরীর অসুস্থ থাকায় বেশকিছু দিন ধরেই সম্পাদক মন্ডলী থেকে সরে যেতে চাইছিলেন তিনি।। বৃহস্পতিবার বৈঠকে আরও একবার নিজের সেই ইচ্ছার কথা জানান। একইসঙ্গে নতুন মুখদের দ্বায়িত্ব দেওয়ার পক্ষেও স‌ওয়াল করেন প্রাক্তন ছাত্র নেতা। 


নবান্ন অভিযানের অপ্রত্যাশিত সাফল‍্যের পুরস্কার হিসাবে এস‌এফ‌আইয়ের তিন নেতা সৃজন ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাস ও প্রতিকূর রহমান-সহ ডিওয়াইএফ‌আইয়ের মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ঠাঁই পেলেন রাজ‍্যকমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য তালিকায়। নতুন স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্যরা হলেন- পরেশ পাল, সৈয়দ হোসেন, অলকেশ দাস, ময়ূখ বিশ্বাস, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকূর রহমান, মীনাক্ষি মুখার্জি ও সর্বানিপ্রসাদ সাঁতরা। 



সম্পাদকমন্ডলীতে আনা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি ও উত্তর ২৪ পরগনার পলাশ দাস ও কলকাতা জেলার কল্লোল মজুমদার। শমীক লাহিড়ি হয়েছেন স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য। সম্পাদকমন্ডলীর দুই আমন্ত্রিত সদস্য অনাদি সাহু ও সুমিত দে হলেন পূর্ণ সদস্য। গৌতমদেব-সহ মানব মুখোপাধ্যায়, দীপক দাশগুপ্ত, নৃপেন চৌধুরী সরে দাঁড়ালেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নতুন যাঁরা অন্তর্ভূক্ত হলেন, তাঁরা সকলেই গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ।  


আরও পড়ুন- ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, জগদীপ ধনখড়ের নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী