নিজস্ব প্রতিবেদন: মেট্রোয় মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্তে পুলিস। সিসিটিভি-র ফুটেজ চেয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি। প্রযুক্তিগত তথ্যও তলব করেছে কলকাতা পুলিস। ঘটনার সময়ে কে কী দায়িত্বে ছিলেন, তা  জানতে চেয়েছে পুলিস। সোমবারই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড হবে। মেট্রোকাণ্ডে সিট গঠন করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এদিন ঘটনার তদন্তে কলকাতায় আসেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। পার্কস্ট্রিট স্টেশনে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। পরে টালিগঞ্জে রাখা রেকটি পর্যবেক্ষণ করবেন। শনিবারই গড়া হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। রবিবার থেকে তদন্ত শুরু করেছেন কমিটির সদস্যরা। শনিবার পার্কস্ট্রিট স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন চিফ লোকো ইন্সপেক্টর।  তাঁর কাছ থেকে ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ নেয় তিন সদস্যের কমিটি। মোটরম্যান ও তাঁর সহযোগীকে জেরা করেছেন তাঁরা। চালক ও গার্ড কী কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, রেল কবি সুভাষের দিকে যাত্রার সময়ে কোনও গোলমাল ছিল কিনা,  তা জানতে চায় কমিটি। সিআরএস  মেট্রো  জনক কুমার গর্গ বলেন, “ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রেকে কোনও সমস্যার কারণে দুর্ঘটনা কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।” নোায়াপাড়ায় রাখা বাকি রেকগুলিও খতিয়ে দেখা হয়।


ভাটপাড়ায় থানার সামনে বোমাবাজি, পরিস্থিতি সামলাতে গুলি পুলিসের


উল্লেখ্য, আড়াই বছর আগে রেকগুলি চলে এলেও, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার অভিযোগ উঠছিল। প্রথমে রেকগুলিকে যাত্রী পরিষেবায় ব্যবহার করা যায়নি। গত শনিবারের দুর্ঘটনার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে একটি যুক্তি খাঁড়া করা হয়েছিল।  মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ১৫ মিলিমিটারের নীচে দরজার ফাঁকে কিছু ঢুকে থাকলে, তা ‘সেন্স’ করতে পারে না।  ১৫ মিমি-র ওপরে কিছু আটকালে দরজা সেন্স করতে পারে।  সেক্ষেত্রে  ওই ব্যক্তির হাতের তালু মেট্রোর দরজার ফাঁক দিয়ে লম্বালম্বিভাবে ভিতরে ঢোকানো ছিল। হাতের তালু পাতলা হওয়ায় ও ১৫ মিমি-র কম হওয়ায় দরজা তা ‘সেন্স’ করতে পারেনি।  ফলে চালক মেট্রো চালিয়েছিলেন।


এছাড়াও নতুন রেকগুলিতে কোনও কিছু দরজার ফাঁকে আটকে গেলে, যাত্রীরা ভিতর থেকে দরজাটি দুদিকে ঠেলে ৩০মিমি পর্যন্ত সরাতে পারেন। কিন্তু এই নতুন নিয়ম যাত্রীদের পক্ষে জানা অসম্ভব।