অর্ণবাংশু নিয়োগী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশ জুড়ে লক ডাউন। ঘর বন্দি মানুষ। বন্ধ অফিস আদালত। এই অবস্থায় ‘ওয়ার্ক ফরম হোম’ করে কাজ করছেন অনেকে। আবার সময় কাটাতে সোশ্যাল সাইট নির্ভর অনেকেই। এই দুইয়ের খামতি মেটাচ্ছে একটি অ্যাপ। নাম Zoom।


আরও পড়ুন-করোনা-মুক্ত হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, নার্সদের নাম করে কৃতজ্ঞতা জানালেন বসির জনসন


এতটাই চাহিদা বেড়েছে যে এক বছরে অ্যাপের গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে বেশ কয়েক কোটি। কিন্তু কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য মাধ্যম দিয়ে ভিডিও কলে কাজ করা সম্ভব কিন্তু এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ১০০ জনও এক সঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারেন। যার ফলে চাহিদা বাড়ছে।


চাহিদা বাড়ছে যখন, সেই সঙ্গে থাকছে বিপদের আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অ্যাপের মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীর মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের তথ্য ফাঁস হতে পারে!


কি কি সমস্যা?


প্রথমত, লিঙ্ক পাঠিয়ে যে কাউকে ভিডিও করে যোগ করান সম্ভব। সেই লিঙ্ক অন্য কারও হাতে গেল সব তথ্য আড়ালে থেকে হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।


দ্বিতীয়ত, End To End Encryption দেওয়া হচ্ছে না ঠিক মতো।


তৃতীয়ত, এই অ্যাপ দিয়ে গ্রাহকের ওয়েব ক্যাম নিজের মতো ব্যবহার করতে পারে তৃতীয় কেউ!


রাষ্ট্রীয় নোডাল এজেন্সি CERTIN (Computer Emergency Response Team)ও সতর্ক বার্তা দিয়েছে।


সাইবার বিশেষজ্ঞ অভিষেক মৈত্র বলেন,  এই অ্যাপে সমস্যা রয়েছ। গুগল তার কর্মীদের এই অ্যাপ ব্যাহার করার জন্যপারে সতর্ক করেছে।


 কয়েকটি জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে,


১) App সময় মতো আপডেট করতে হবে


২) শক্ত পাসওয়ার্ড দিতে হবে অ্যাপে


৩) মিটিং চলাকালীন ইউনিক পাসওয়ার্ড দিতে হবে


৪) ম্যানেজারের অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ যেন ভিডিও কলে যোগ দিতে না পারে।


তথ্য বলছে, এই অ্যাপের ফাউন্ডার একজন চিনা ব্যক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অ্যাপ নিয়ে অনেক দেশেই সতর্ক করেছে। বর্তমানে এই অ্যাপে সরকারি বেসরকারি সব ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। সতর্ক থাকা আমাদের দরকার।


অন্যদিকে, লক ডাউন চলছে। এই অবস্থায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে সরকার। এমনকী, সামর্থ রয়েছে এমন মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছে সরকার। হাত বাড়িতে দিয়েছেন অনেকেই। তবে সবটাই হচ্ছে অন লাইনে। এই পরিস্থিতির সুযোগ মাঠে নেমে পড়েছে অনলাইন চোর। যাদের জাল ছড়িয়ে সোশ্যাল সাইটে। পা দিলেই বিপদ।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই ইউরিআই’র মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন


প্রধানমন্ত্রী তহবিলে। এখানেই রয়েছে কারসাজি। যেমন, যেমন ধরো,


PMcares@SBI সঠিক ঠিকানা। সেটার পরিবর্তন করে PMcarees@sbi করা হচ্ছে। যার ফলে মানুষ ফারাকটা বুঝে উঠতে পারছেন না। আর বিপদে পড়ে যাচ্ছেন।