Digital Strike: ডিএ আদায়ে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ছে, এবার `ডিজিটাল স্ট্রাইক` সরকারি কর্মচারীদের
Digital Strike:ডিএ নিয়ে গতকালই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, `আপনারা যদি বলেন, কাজ করবেন রাজ্য সরকারের, আর কেন্দ্র সরকারের হারে ডিএ দিতে হবে, এটা তো হয় না
অয়ন ঘোষাল: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও তীব্র করছেন সরকারি কর্মীরা। এবার অন্য পন্থায়। সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে এবার ১৮ মার্চ থেকে ডিজিটাল স্ট্রাইকের পথে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন-সেরা সাংসদের পুরস্কার পেলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, কৃতজ্ঞতা জানালেন মমতাকে
ডিএর দাবিতে ধর্মঘটে যোগ দিয়ে যারা কাজে আসেননি তাদের শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাজ করে কেন্দ্রের হারে ডিএর দাবি করা যাবে না। তার মধ্যেই নতুনভাবে আন্দোলনে নামছেন সরকারি কর্মচারীরা।
ডিজিটাল যুগ। তাই ডিজিটাল স্ট্রাইক। এই কৌশল বেশ কার্যকরী বলে মনে করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। গত ১০ মার্চের ধর্মঘট সর্বাত্মক সফল হয়েছিল বলে দাবি করে যৌথ মঞ্চ। তখন থেকেই চিন্তাভাবনা চলছি এই ধর্মঘটকে লাগাতার প্রশাসনিক ধর্মঘটের চেহারা দেওয়া য়ায়। গতকাল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরমধ্যে যদি লাগাতার ধর্মঘট হয় তাহলে তার প্রভাব জনমানসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে যৌথ মঞ্চ। সেই কারণেই সেই ধর্মঘটকে পেছনে রেখে আপাতত ডিজিটাল ধর্মঘটের পথে যেতে চান সরকারী কর্মীরা।
ডিজিটাল ধর্মঘট আসলে কী?
ধর্মতলায় এক আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের ডিউটি আওয়ার্স হল দশটা থেকে পাঁচটা। এর বাইরে হয়তো রাত দশটার সময় একটা অর্ডার মোবাইলে দিয়ে দিল। রাত বারোটা, একটার সময়ে পোর্টলে কাজ করতে হয়। এগুলো আমরা করতে বাধ্য নই। আগামী ১৮ মার্চের পর থেকে ডিউটি আওয়ার্সের পর ওইসব কাজ আজ করব না।
এরকমই ৮টি পয়েন্ট রয়েছে সরকারি কর্মীদের। ওই আটটি ক্ষেত্রে ডিজিটালি ওভারটাইম করতে হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের। এবার ১৮ মার্চের পর থেকে অফিস টাইমের বাইরে মোবাইলে পাওয়া তথ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যকর করা হবে না। এভাবেই ডিএ ইস্যুতে সরকারের উপরে আরও চাপ বাড়াতে চাইছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
উল্লেখ্য, ডিএ নিয়ে গতকালই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, 'আপনারা যদি বলেন, কাজ করবেন রাজ্য সরকারের, আর কেন্দ্র সরকারের হারে ডিএ দিতে হবে, এটা তো হয় না।
এদিন আলিপুর জাজেস কোর্টে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক কাঠামো আলাদা। কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, রাজ্য সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের টাকা ছাপানোর ক্ষমতাও নেই। আগে আমরা অনেক ট্যাক্স সংগ্রহ করতে পারতাম। এখন তো একটাই ট্যাক্স জিএসটি। এই ট্যাক্সটা তুলে নিয়ে যাই কেন্দ্র। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমরা ১ তারিখে মাইনে দিই। পেনশনটাও দিই। যে সরকার এত মানবিক, সেই সরকারকে নিয়ে ভাববেন না'।