ওয়েব ডেস্ক: পথে মৃত্যুফাঁদ। ত্রিফলাস্তম্ভের গায়ে খোলা ফিউজ বক্সই এখন নতুন ডেঞ্জার সাইন। বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে ভবানীপুরে দশ বছরের রমেশ বেঙ্গানির মৃত্যু, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সেই ছবিটাই। শহরবাসীর প্রশ্ন, সৌন্দর্যায়নে কি তবে পরিকল্পনার অভাব থেকে গিয়েছে? কী করছে পুরসভা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জীবনবাতি নিভিয়ে দিচ্ছে, পথ আলো করে থাকা এই ত্রিফলাই। কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে মরণফাঁদ। ভবানীপুরের রমেশ মিত্র রোডে রমেশ বেঙ্গানির মৃত্যু, খুলে দিয়েছে বিতর্কের পথ। কেন মরতে হল দশ বছরের ছোট্ট ছেলেটিকে?  কার দায়?


বাঁচতেই তো চেয়েছিল রমেশ। জলে ভরা পথে পিছলে পড়ে যেতে গিয়ে, ব্যালান্স রাখতেই সে ধরতে চেয়েছিল পাশের ত্রিফলা ল্যাম্পপোস্ট। হাত পড়ে যায় খোলা ফিউজ বক্সে। ব্যস। সঙ্গে সঙ্গে সব শেষ।


রাস্তাঘাট আলোর মালায় সেজেছে। ভাল কথা। শহরকে সুন্দর করে তোলা হচ্ছে। সেও ভাল। কিন্তু নিরাপত্তার প্রশ্নে কেন এত ফাঁকফোকর? অপরিকল্পিত সৌন্দর্যায়নেরই কি মাসুল দিতে হল দশ বছরের রমেশ বেঙ্গানিকে? কেন বাতিস্তম্ভে খোলা অবস্থায় থাকবে ফিউজ বক্স?


কয়েকমাস আগেও কিন্তু ছবিটা ছিল অন্যরকম। ত্রিফলা তখন শুধু ত্রিফলাই। অর্থাত্‍ মাথায় তিনটি বাতি। কিন্তু কয়েক মাস আগে আরেক দফা সৌন্দর্যায়নের ধাক্কায়, ত্রিফলার গায়ে জড়ানো হয় স্পাইরাল লাইট। নতুন এই যে নীল-সাদা LED  লাইট জড়ানো হয়েছে, এতেই কেটেছে ছন্দ।


আরও পড়ুন ত্রিফলার ফিউজ বক্সে হাত লেগে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত বালক


ত্রিফলায় তিনটি আলোর জন্য যতটা তার দরকার, সেইমতোই তৈরি হয়েছিল ফিউজ বক্স। নতুন করে যে LED আলো ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের গায়ে জড়ানো হয়েছে, সেটির তার লাগাতে কোনও বাড়তি জায়গা নেই। তারের পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায়, ফিউজ বক্স আর আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। বিপদ তাই এখন চারদিকে।


শুধু বর্ষা কেন, যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে বিপদ। অসাবধানে হাত লাগলেই, নিশ্চিত মৃত্যু। নিরাপত্তার মূল্যে সৌন্দর্যায়ন, এর কোনও যুক্তি আছে কি? কেন এই নতুন আলোকসজ্জার আগে দু বার ভাবল না প্রশাসন? প্রশ্ন আমজনতার।