ওয়েব ডেস্ক : ডেট রেপ ড্রাগ। জলে বা কোনও পানীয়তে নিমেষে মিশে যায়। আর একবার শরীরে গেলেই কয়েক ঘণ্টার জন্য বেহুঁশ। স্থান-কাল-পাত্র জ্ঞানই থাকে না। বহু ধর্ষণকাণ্ডেই এ জাতীয় মাদককে হাতিয়ার করে অপরাধীরা। এমনই মাদক ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে মুকুন্দপুরেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাদক খাইয়ে ধর্ষণ  

হাতিয়ার ডেট রেপ ড্রাগ। মুকুন্দপুরের অভিযোগকারী তরুণী পুলিসকে জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধেয় তাঁর পানীয়র সঙ্গে মাদক মেশানো হয়...এরপরেই বেহুঁশ হয়ে পড়েন তিনি। তার পরেই শুরু হয় নির্যাতন।
তবে এইটাই প্রথম নয়... বহু ধর্ষণ কাণ্ডেই এমন অভিযোগ ওঠে। এই ধরণের ড্রাগকে বলা হয় ডেট রেপ ড্রাগ।


আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় বিউটি পার্লারের ভিতরে গণধর্ষণের অভিযোগ


এই মাদক শুধুমাত্র শক্তিশালী তাই নয়, মারত্মক এর প্রভাব। শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই কাজ শুরু করে দেয় এই সব ড্রাগ। মদ বা অন্য মাদকের সঙ্গে মেশালে বাড়ে তীব্রতা। মদে মেশানো ড্রাগের প্রভাবে মৃত্যুও হতে পারে। সাধারণত ৩ ধরণের ডেট রেপ ড্রাগ ব্যবহার করা হয়। এগুলি হল রোহেপনল, GHB  এবং কেটামাইন। রোহেপনল কাজ শুরু করে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও থাকে না। কয়েক ঘণ্টা থাকে এর প্রভাব। পানীয়তে মেশানো হলে সময়ের সঙ্গে রঙ ঘন নীলচে হয়ে যেতে থাকে। তবে কোলা জাতীয় পানীয়তে মেশালে সেই রং বদল বোঝা যায় না।


GHB ড্রাগও ১৫ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে দেয়। সামান্য নোনতা স্বাদের এই ড্রাগ ফলের রস বা মিষ্টি পানীয়তে মেশানো হলে বোঝা সম্ভব নয়। কেটামাইনও সাদা পাউডারের মতো, সহজে পানীয়তে মিশে যায়। এই ড্রাগের নেশায় কী হয়েছিল তা অনেক সময়ই মনে থাকে না। এই ধরণের মাদককে ক্লাব ড্রাগও বলা হয়। রেভ পার্টিতে নেশার জন্য এই সব মাদক ব্যবহার করা হয়। এই ড্রাগের নেশায় কাউকে বেহুঁশ করে যৌন নির্যাতন চালানো খুব একটা কঠিন নয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অন্য অপরাধেও এই মাদক ব্যবহার হয়। এর থেকে বাঁচতে অপরিচিতের দেওয়া পানীয় খাওয়া উচিত্ নয়।