নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজারহাট সিটি সেন্টার টু। নামটুকুই যথেষ্ট। নতুন করে এলাকাটা চেনানোর অপেক্ষা রাখে না। শহরের অভিজাত এলাকায় ঝাঁ চকচকে শপিং মল। আর ঠিক তার পিছনেই রমরমিয়ে চলছিল মরা মুরগির খামার। মরা মুরগির মাংসের এলাহি কারবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খামারের নাম ঢালি চিকেন সেন্টার। ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল তদন্তকারী অফিসারদের। খামারের মধ্যে রয়েছে ৭-৭টি ফ্রিজার। আর তার প্রত্যেকটিতে প্রত্যেকটিতে থরে থরে জমিয়ে রাখা মরা মুরগির পচাগলা মাংস। শুধু ফ্রিজার নয়, খামারের যত্রতত্র পড়ে মুরগির দেহ। এইসব মরা মুরগি থেকে মাংস কেটে নিয়ে বছরের পর বছর ওই ফ্রিজারে জমিয়ে রাখা হত বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন, ভাগাড়ের পচা মাংসকাণ্ডে আন্তর্জাতিক যোগ, জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃতদের


অভিযোগ, টাটকা মাংসের সঙ্গে এই পচাগলা মাংস মিশিয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হত কলকাতা, নিউটাউন, বিধাননগরের বিভিন্ন নামীদামী রেস্তরাঁয়। এমনকি সস্তায় হোম ডেলিভারিও করা হত এই পচা মাংস। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ১০ জনকে। খামারটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, ঢালি চিকেন সেন্টারের মালিক কউসর আলি ঢালি বসিরহাটের বাসিন্দা। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। উল্লেখ্য, এদিন সকালে দমদম বিমানবন্দর লাগোয়া একটি রেস্তরাঁ থেকে ৭০ কেজি মরা মুরগির মাংস উদ্ধার হয়। সেই সূত্র ধরেই খোঁজ মেলে এই ঢালি চিকেন সেন্টারের।


আরও পড়ুন, মৃতদেহ সংরক্ষণের ইঞ্জেকশন দিয়েই মরা পশুর মাংস প্রক্রিয়াকরণ!


রীতিমতো হাইটেক কারবার। খামারের একদিকে রয়েছে কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্তরে স্তরে সাজানো ছাপানো বিল বই। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে কাজে আসতে হত খামারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের। একই বিভাগে একসঙ্গে দুজন ছুটি নিতে পারত না। কর্মচারীদের একদিনের বেশি ছুটিও মিলত না।