নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবার বলছে ভূতের ভয়ে মৃত্যু। ময়না তদন্তকারী চিকিত্সকদের দাবি, শ্বাসরোধ করা হয়েছে। তবে, সে ক্ষেত্রে গলার দাগ যতটা গভীর হওয়ার কথা, এখানে তা নেই। ভূতের আতঙ্কে মৃত্যু নাকি ভূত সেজে শ্বাসরোধ করে খুন? নিউ আলিপুরের ১০ বছরের বালিকার মৃত্যু ঘিরে জমাট বাঁধছে রহস্য। পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নিজের কুয়োয় বেড়া দিচ্ছিলেন ব্যক্তি, বাবা-ছেলেকে সারাদিন খুঁটিতে বেঁধে পেটাল প্রতিবেশীরা


একটা মৃত্যুতেই উঠছে অনেক প্রশ্ন। নিউআলিপুরের বালিকার মৃত্যুতে পরতে পরতে রহস্যজাল। নিউ আলিপুরের ই ব্লক। অভিজাত পাড়ায় মায়ের সঙ্গে থাকত বছর দশেকের মেয়েটি। শুক্রবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকেরা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন। রহস্যের শুরু এখান থেকেই। কীভাবে মারা গেল মেয়েটি?


পরিবারের দাবি, বেশকয়েকদিন ধরেই ভূতের ভয়ে মানসিক চাপে ছিল মেয়ে। শুক্রবার বাথরুমে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায়। পরিজনদের যুক্তি টিঁকছে না ময়না তদন্তের রিপোর্টে।


শ্বাসরোধ করে খুন? মেয়েটির গলায়  শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। তবে, হাত দিয়ে শ্বাসরোধ করা হলে দাগ যতটা গভীর হয়, এক্ষেত্রে তা নেই। বালিকার গলায় যে ধরনের দাগ রয়েছে, তা কোথা থেকে এল?


আরও পড়ুন:  দু'দুটো 'ফুসফুস' দান! যেন জীবন ফিরে পেল বিরল রোগে আক্রান্ত ২ খুদে


রহস্য আরও গভীর হচ্ছে পাড়া প্রতিবেশীদের বয়ানেও। মেয়েটির ঠিক পাশের বাড়িতেই নামজাদা এক চিকিত্সকের বাড়ি। কিন্তু, তাঁর কাছে না গিয়ে বালিকাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে কেন নিয়ে গেলেন পরিজনরা? পুলিসের রাডারে ওই বাড়িতে যাতায়াত করা এক যুবকও।


সেদিন ওই যুবকই বাড়িতে এসে মেয়েটি বাকিদের সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত সবাইকে থানায় ডেকে জেরা করছে পুলিস। আটক করা হয়েছে ওই যুবককেও প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, হয়তো মাস্ক পরিয়ে বা মুখ ঢেকে বালিকার শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে।