অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সময় বদলায়। পিছনের সারি থেকে হঠাত্ রাজ্য বিজেপির দফতরে মধ্যমণি হয়ে উঠলেন বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। বালুরঘাটের চিনু (দেবশ্রীর ডাকনাম) আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মোদী সরকারের শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। শহরে ফিরেই জমকাঁলো অভ্যর্থনার মাঝে জানিয়ে দিলেন, উত্তরবঙ্গে একটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য। 


রাজ্যের অনেকগুলি আসনের মতো প্রথমবার রায়গঞ্জ আসনটি জিতেছে বিজেপি। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ডেরায় ফুটেছে পদ্মফুল। এর আগে রায়গঞ্জ থেকে মন্ত্রী হয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন ও দীপা দাশমুন্সি। এবারও প্রচারে এসে অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন, জিতলে দেবশ্রীকে মন্ত্রী করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।



৪৮ বছর বয়সের দেবশ্রীর রাজনৈতিক জীবন প্রায় ৩০ বছরের। জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১ জানুয়ারি। বালুরঘাটের খাদিমপুর স্কুল এলাকায় তাঁর বাড়ি। এখন অবশ্য কলকাতায় থাকেন। দেবশ্রীর বাবা দেবীদাস চৌধুরী খাদিমপুর স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। অবিভক্ত দিনাজপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক ছিলেন দেবীদাসবাবু। বালুরঘাট খাদিমপুর হাইস্কুলে মাধ্যমিক পাশের পর খাদিম গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হন।



বালুরঘাট কলেজে স্নাতকস্তরের পড়াশুনোর সময় থেকে হাতেখড়ি এবিভিপি-তে। ১৯৯৩ সালে চার ভাই-বোন চলে আসেন কলকাতায়। চারজনের মধ্যে ছোট দেবশ্রী। ১৯৯৬ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করেন দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু রাজনীতিতেই মন পড়েছিল দেবশ্রীর। সংসারজীবন আর করা হয়ে ওঠেনি।       



কিন্তু রাজনীতিতেও ছিলেন পার্শ্বচরিত্র। বিজেপির ভরা বাজারে তাঁর অনেক পরে যোগদান করেও পদপ্রাপ্তি বা নাম কামিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। দেবশ্রী খানিকটা থেকে গিয়েছিলেন অন্তরালে। বিজেপির রাজ্য দফতরে আড়ালে-আবডালে শোনা যেত, সতীর্থরাও বেশ দূরত্ব রেখেই চলতেন। এমনকি সাংবাদিকমহলেও পরিচিত মুখ ছিলেন না। কিন্তু, ভাগ্যের চাকা ঘুরতে বেশি সময় লাগে না। সেদিনের সেই দেবশ্রীই এখন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। দমদম বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপচে পড়ছে ভিড়। রাজনীতির ময়দানে পার্শ্বচরিত্রই এখন 'নায়িকা'।   


আরও পড়ুন- গুজরাটের সেই জুটির প্রত্যাবর্তন, স্বরাষ্ট্রে অমিত বসতেই বিরোধী শিবিরে শীতল স্রোত?