Debjani Mukherjee: `শুভেন্দু-সুজনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি`, বিস্ফোরক জেলবন্দি দেবযানী
Debjani Mukherjee: যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিআইডি। কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, মিথ্যা অভিযোগ। সিআইডি একটি তদন্তকারী সংস্থা। তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই কাজ করে সিআইডি। দেবযানীর সই করা কিছু চেক পাওয়া গিয়েছে। সেগুলোর সত্যতা যাচাই করতে চেয়েছিল সিআইডি। দেবযানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সারদা কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার মতো দাবি করেছেন সারদা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukherjee) এবং তাঁর মা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য চাপ দিচ্ছে সিআইডি (CID)। জেলে গিয়ে সিআইডি কর্তারা নাকি রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে (Debjani Mukherjee)। অভিযোগ, তাঁকে বলতে বলা হয় 'সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন নাকি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং সুজন চক্রবর্তীকে ৬ কোটি টাকা করে দিয়েছেন।' যদিও সমস্ত বিষয়টা অস্বীকার করেছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর মা।
এই বিষয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা বলেন, "২০১৩ সালে সারদা মামলা শুরু হয়েছে এটা ২০২২ সাল, ৯ বছর বাদে এই মামলায় আবার কেন সিআইডি? এটাই আমার মেয়ের অভিযোগ। সিআইডি আমার মেয়েকে দিয়ে কিছু কথা বলানোর চেষ্টা করছে। সুজন চক্রবর্তী ও শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছে, সেটা দেবযানীর সামনে হয়েছে, দেবযানী দেখেছে, দেবযানী ছিল, দেবযানী জানে, কিন্তু কোনটাই না। দেবযানী দেখেনি, ছিল না, জানে না। নাহলে আরও ৯টা কেস চাপানো হবে। দশ বছর জেলে হয়েছে, আরও বিশ বছর থাকবে। এরম একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সিবিআই শেষ হয়নি, ন'বছর বাদে সিআইডি কেন? তাই চিঠি দিয়েছি।"
জানা গিয়েছে, এই মর্মে মানবাধিকার কমিশন এবং ডিআইজি সিআইডিকে চিঠি দিয়েছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা এবং বার কাউন্সিলকে চিঠি লিখেছেন খোদ দেবযানী মুখোপাধ্যায়। এই বিষয়ে টুইটারে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "একুশের ভোটের আগে বলেছিল ন'কোটি এখন পঞ্চায়েতের আগে বলছে ৬ কোটি টাকা। তিন কোটি টাকা কি সিআইডি গায়েব করে দিল? তৃণমূলের নেতারা যত জেলে ঢুকবে তত দুর্গন্ধ ছড়াবে। ওরা ভয় পাচ্ছে।"
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিআইডি। কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, মিথ্যা অভিযোগ। সিআইডি একটি তদন্তকারী সংস্থা। তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই কাজ করে সিআইডি। দেবযানীর সই করা কিছু চেক পাওয়া গিয়েছে। সেগুলোর সত্যতা যাচাই করতে চেয়েছিল সিআইডি। দেবযানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে।
সিবিআই-কে লেখা দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের চিঠি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি। অবিলম্বে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।