ব্যুরো: নোট বাতিলের ধাক্কা। ৬ বছরে এই প্রথমবার কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সংশয়, আগামী বছরের লক্ষ্যপূরণ নিয়েও। করনীতি সরল করে আদায় বৃদ্ধি। বামেদের হাত থেকে ব্যাটনটা নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে এই কাজটি করে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সেই গর্বেই এবার আঘাত করেছে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। একধাক্কায় কমেছে রাজস্ব আদায়ের হার। বিগত অর্থবর্ষে রাজ্যের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। অর্থাত্‍ প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা আদায় কম হয়েছে। (সেন্সার বোর্ডের কোপে 'বিকাশ পুরুষ' মোদীর উপর তৈরি সিনেমা)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তার মধ্যে বিক্রয়কর ও স্ট্যাম্প ডিউটিতে লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম আদায় হয়েছে। মান বাঁচিয়েছে আবগারি শিল্প। নোট বাতিল সবচেয়ে বড় ঘা মেরেছে নির্মাণ শিল্পে। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যা ঘুরপথে প্রভাব ফেলেছে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ কর আদায়ে। অন্যদিকে, বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সবচেয়ে বেশি বিক্রয় কর থেকে আদায় হয়। সেই সময়েই নোট বাতিলে ধাক্কা খায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। অর্থমন্ত্রীর আশঙ্কা, বিমুদ্রাকরণ ভোগাবে বহুদিন। 



এই পরিস্থিতিতেও পরবর্তী অর্থবর্ষে কর আদায়ের সাহসী টার্গেট নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা করেছেন অমিত মিত্র। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী অর্থবর্ষে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যাবে? সংশয়ী অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও আশাবাদী অর্থমন্ত্রী।