নিজস্ব প্রতিবেদন: ডেঙ্গির হামলা এবার মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, আক্রান্ত গৃহবধূ রিঙ্কি দাশগুপ্ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ডেঙ্গি আক্রান্ত রিঙ্কি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ডেঙ্গি আক্রান্তকে এখনও পর্যন্ত ৪ উইনিট প্লেটলেট দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গির হামলা থেকে রিঙ্কি দাশগুপ্তের পাঁচ বছরের মেয়েকে পাঠানো হয়েছে আত্মীয়ের বাড়িতে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রিঙ্কির পরিবারের অভিযোগ শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হলেও শনিবার রাত পর্যন্ত এলাকায় যাননি কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মীরা। এখনও ছড়ানো হয়নি মশা নিরোধক ধোঁয়া। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশীরা দফায় দফায় এসে দেখে গেছেন গৃহবধূ রিঙ্কি দাশগুপ্তকে। তবে কোনও খোঁজ নেওয়া হয়নি পৌরসভার তরফে। ডেঙ্গুর থেকেও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়ার মশার দাপটে কাহিল এলাকাবাসী, সে বিষয়েও উদাসীন প্রশাসন। 


আরও পড়ুন- কলকাতায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু ৩ বছরের শিশুর


এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাড়ি থেকে দক্ষিণ দিকের রাস্তায় খানিকটা গেলে কালীঘাট রোড ও হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের সংযোগকারী গলি। সেই গলির ৩ নম্বর বাড়িতে এখন আতঙ্কে দিন গুনছেন দাশগুপ্ত পরিবার। দিন চার আগে ধূম জ্বর ও গা হাত পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন রিঙ্কি দাশগুপ্ত। দেখানো হয় স্থানীয় একচিকিৎসককে। তিনি সাধারণ জ্বর বলেই জানান। এরপর শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকলে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। এন এস ওয়ান পরীক্ষা করানো হলে তাতে ডেঙ্গি ধরা পড়ে। এদিকে রোগীর অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটে। প্লেটলেটের মাত্রাও কমতে থাকে। অবশেষে গত শুক্রবার দুপুরে তড়িঘড়ি দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার পর্যন্ত রিঙ্কি দাশগুপ্তকে সকাল থেকে মোট ৪ ইউনিট প্লেটলেট দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা শনিবার রাত পর্যন্ত অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানাননি। 


আরও পড়ুন- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি'লিট সম্মান পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডে রিঙ্কি দাশগুপ্ত একা নন। মাস খানেক সময়ের মধ্যে সুহাসিনী গাঙ্গুলি সরণি, মদন পাল লেন, গোবিন্দ বসু লেন, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের একাংশে একাধিক বাসিন্দাই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থ।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় কর্পোরেশনের বেহাল অবস্থা। ওই বাসিন্দার দাবি, এলাকায় তেমন স্বাস্থ্যকর্মী চোখে পড়ে না। মশার লার্ভা নিধনের জন্য স্প্রে করা হয়নি। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পরেও কর্পোরেশনের তরফে এসে ধোঁয়া দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই এলাকায় ডেঙ্গির থেকেও প্রকট ম্যালেরিয়ার প্রভাব। এক দিকে ডেঙ্গি অন্যদিকে ম্যালেরিয়া দুই রোগের সাঁড়াশি আক্রমণে অতিষ্ঠ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এলাকাবাসী।