জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এমনটাই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যকে নিশানা করে দিলীপ বলেন, শহরে ডাস্টবিনগুলি থেকে ময়লা বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশ দিয়ে হাঁটা যায় না। ঠিকমতো ময়লা তোলা হয় না। গোটা শহরটাই ধীরে ধীরে ডাস্টবিন হয়ে যাচ্ছে। সরকারের উচিত এতে গুরুত্ব দেওয়া। যারা বলছেন কিছু নয়, তাদের পার্টির নেতারা মারা যাচ্ছে। একটা হাসপাতালের সুপার মারা গিয়েছেন। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর দিকে চলে যাচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা সরকার করছে না। কিছু বিবৃতি দিয়ে সবকিছু চেপে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'পাকিস্তান এই জয়ের দাবিদার'! পরাজিত অধিনায়ক বুকে টেনে নিলেন জয়ীকে


দিলীপের মন্তব্যের বিরোধিতা করে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ওঁর কাজই এটা। উনি কী আর বলবেন। ওঁকে সুকান্তর সঙ্গে লড়়াই করতে হয়। শুভেন্দুর সঙ্গে লড়তে হয়। কোণঠাসা অবস্থা। ফলে একটু কুত্সা করতে হয়। ডেঙ্গি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। কে বলছে চিন্তা করছে না। সরকার খুব গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখছে। সরকার-পুরসভা-স্বাস্থ্য দফতর-পঞ্চায়েত কাজ করছে। করোনায় গোটা দেশকে ডুবিয়েছে বিজেপি। তখন কোথায় ছিলেন দিলীপবাবু! যদি বলেন কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা দরকার তাহলে বলব যখন যা দরকার তখন তা করা হবে। যখন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যসরকার তার পাওনা টাকা চাইছে তখন তা আটকে দিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। ওরা মানুষকে বিপাকে ফেলছেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকল্প নীতিতে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন।   


ডেঙ্গি মোকাবিলায় জোরকদমে রাস্তায় নেমে পড়েছে পুরসভা। পুরকর্মীরা মশার লার্ভা মারতে যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছেন তা ঘুরে দেখেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শহরের একাধিক ওয়ার্ড ঘুরে পরিস্থিতি সরেজমিনে খোঁজখবর নেন ফিরহাদ। ১৩,১৪ ও ১৬ বরো নিয়ে বৈঠকেও বসেছে পুরসভা। আগামী ১৪ নভেম্বর ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ডেঙ্গি সমস্যা নিয়ে ফিরহাদ বলেন, জমি নিয়ে নেব, বাড়ি করব। কোটি কোটি টাকা লাভ করব। কোনও দায়িত্ব নেব না। এইতো চলছে। 


বিধাননগরে ডেঙ্গি দমনে নেমে হিমশিম খাচ্ছেন পুরকর্মীরা। বহু আবাসনের বাড়ির উপরে লার্ভা জন্মাচ্ছে। এমনটাই দাবি করলেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এনিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়েও কোনও সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এনিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরও উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কৃষ্ণা বলেন, আমাদের কাছে এত লোকবল নেই। সরকারি অফিসগুলির উচিত নিজেরাই এর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে সমস্যা। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার বেশিরভাগ বাড়ির দরজাই খুলছে না। বেশিরভাগ জায়গায় বাড়ির টবে লার্ভা পেয়েছি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)