নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাস্থ্যভবন পাঠানো সত্ত্বেও ভর্তি করতে দেরি। অ্যাম্বুল্যান্সে বসে প্রায় ঘণ্টাখানেক শ্বাসকষ্টে ভুগলেন করোনা আক্রান্ত কসবার এক বৃদ্ধা(৮৫)। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে শেষপর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজের গ্রিন বিল্ডিংয়ে ভর্তির ছাড়পত্র পেলেন ওই মহিলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩২,৩৬৪, জানুন আপনার জেলার পরিস্থিতি


শুক্রবার ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স করে মেডিক্যাল কলেজে আনা হয় ওই বৃদ্ধাকে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও কর্মী কোনওক্রমে নামান তাঁকে। তার পরেই শুরু হল টালবাহানা। অনেক অনুরোধ, স্বাস্থ্যভবনে ফোন, সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতির পর সুরাহা হল। তাও আবার গ্রিন বিল্ডিংয়ের সামনে মিলল না কোনও হুইল চেয়ার। লাঠিতে ভর করে নিজেই হাঁটতে শুরু করলেন ওই মহিলা। গ্রিন বিল্ডিংয়ের সিঁড়িতে পৌঁছানোর পর আনা হল হুইল চেয়ার।
 
বৃদ্ধাকে আনা ১০২ অ্যাম্বুল্যান্সের চালক জানান, নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যভবন থেকে ১০২ অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে করোনা আক্রান্ত ওই রোগীকে কলকাতা মেডিক্যালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।  সেই মত নির্দেশ পেয়ে আমরা ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে আসি। কিন্তু এমার্জেন্সিতে কর্মরত চিকিত্সক বলেন রিপোর্ট কোথায়! আমরা বলি স্বাস্থ্যভবন আমাদের মেসেজ করে এখানে আনতে বলেছে। আপানাদের কাছে মেসেজ করে দিয়েছে। কিন্তু ওই চিকিত্সক ভর্তি নিতে রাজি হননি। প্রায় সোয়া একঘণ্টা অ্যাম্বুল্য়ান্সে বসেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন  ওই মহিলা।


আরও পড়ুন-লাগাম ছাড়া বিল! বেসরকারি হাসপাতালে এবার করোনা চিকিৎসার খরচ বাঁধতে চলেছে স্বাস্থ্য কমিশন


অ্যাম্বুল্যান্সের চালক আরও বলেন, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে এলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। বেলেঘাটা আইডি, এম আর বাঙ্গুর, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ, কেপিসি মেডিকেল কলেজে এ ভাবে আমাদের কখনও কোনও ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় নি।


এ নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। বয়স কত সেটা নিয়ে তথ্যগত একটা সমস্যা হয়েছিল। মিটে গিয়েছে। ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।