ওয়েব ডেস্ক : পটনা থেকে কলকাতা ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাট। ষড়যন্ত্রের অভিযোগে উত্তাল কলকাতা থেকে নয়াদিল্লি। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে তদন্ত শুরু করে DGCA। সেই তদন্তেই এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী হয়েছিল ৩০ নভেম্বর? তিরিশে ডিসেম্বর রাতে অবতরণের জন্য  ৬টা বিমান দমদমের আকাশে চক্কর কাটছিল। ৬ নম্বরে ছিল পটনা থেকে আসা ইন্ডিগোর প্লেনটি। DGCA  সূত্রে দাবি, এই সময়ই ইন্ডিগোর পাইলট ATC-কে বলেন, তাঁর প্লেনে আর জ্বালানি নেই। অবতরণে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে একই দাবি জানায় চক্কর কাটতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া আর স্পাইস জেটের দুটি বিমানও।


DGCA-সূত্রে খবর, এই তিনটি বিমানের পাইলটই মিথ্যে বলছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, কোনও বিমানেই জ্বালানির সঙ্কট ছিল না। আরও আধ ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিতে পারত সব কটা বিমানই। আরও দুবার ল্যান্ডিয়ের চেষ্টা করা কিংবা অন্য বিমানবন্দরে উড়ে যাওয়ার মতো জ্বালানি তিনটি বিমানেই ছিল। তবে সে পথে হাঁটেননি কোনও পাইলটই। জ্বালানি ফুরিয়ে আসার কথা বলে ল্যান্ডিংয়ের জন্য অগ্রাধিকার চান।


সূত্রের খবর, হালের লো-কস্ট বিমানগুলিতে একটু বেশি জ্বালানি খরচ হলেই জবাবদিহি করতে হয় পাইলটকে। ফলে সবসমই তাঁরা দ্রুত ল্যান্ডিং করতে চান। অন্য বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সব সংস্থাই চায় অন টাইম ল্যান্ডিং। আর তার জন্যই এই ধরনের মিথ্যে বলে থাকেন পাইলটরা। আর এমনটাই হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানের ক্ষেত্রেও।


আরও পড়ুন, "আমি বলতে শুরু করলে সংসদে ভূমিকম্প হয়ে যাবে!"