নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসাবে পরিচিত ধাপার মাঠকে পর্যটন স্থল হিসাবে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই কাজে সহায়তা করছে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই ধাপার মাঠকে সবুজে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কাজ শেষ হলে কলকাতার অন‍্যতম দর্শনীয় স্থান হিসাবে জায়গা করে নেবে একদা জঞ্জালের জন‍্য কুখ‍্যাত ধাপার মাঠ এলাকা। নয়া এই দর্শনীয় স্থানে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন‍্য মাঠপুকুর সংলগ্ন এলাকায় বেড়া দেওয়া ফুটপাথ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ক‍্যানাল পার করার জন‍্য ২টো ছোটো ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।


ধাপার মাঠকে সাজিয়ে তুলতে ইতিমধ্যেই কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রকল্পে খরচ হবে ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা নেওয়া হয়েছে। কেএমডিএ সূত্রে খবর, ২০২০-র পুজোর আগেই ধাপার মাঠের সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হয়ে যাবে।


প্রসঙ্গত, কলকাতা শহরের মধ্যেই তৈরি হবে একটি ১০০ একর 'সবুজ শহর'ও! পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতায় ১০০ একর জায়গার উপর তৈরি করা হবে এই গ্রিন সিটি। আলিপুর জেল ইতিমধ্যেই বারুইপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আলিপুর জেলের ঠিক পাশেই থাকা প্রেসিডেন্সি জেলেও স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই জেলের মিলিত জমির পরিমাণ প্রায় ১০০ একরের বেশি। এখন জেলের ৩০ শতাংশ জমি হেরিটেজ অংশ। সেই হেরিটেজ অংশে হবে মিউজিয়াম।


আরও পড়ুন, ATM জালিয়াতি কাণ্ডে দিল্লির জেলে বন্দি আরও ১ রোমানিয়ানের খোঁজ পেল কলকাতা পুলিস


বাকি অংশে হবে গ্রিন সিটি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্ৰিন সিটি তৈরির ব্যাপারে বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির জন্য পরামর্শদাতা নিয়োগ করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। পরামর্শদাতার পরামর্শ পাওয়ার পর তা মুখ‍্যমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য নবান্নে পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই  নতুন গ্রিন সিটি তৈরির কাজে হাত দেবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।