`নিজের কপ্টারের খরচ কেন্দ্রের থেকে চেয়েছেন, মোদীর টাকায় ফুটানি`, মমতাকে খোঁচা দিলীপের
নবান্নর সভাঘর থেকেও `রাজ্যের চিঠিতে কেন্দ্রের কুলুপ` প্রসঙ্গেও মোদী সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শাসক বিরোধী তরজা লেগেই রয়েছে রাজ্যে। কেন্দ্রের কাছ থেকে কয়েক কোটি বকেয়া টাকা পাওয়া বাকি রাজ্যের সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নবান্নর সভাঘর থেকেও 'রাজ্যের চিঠিতে কেন্দ্রের কুলুপ' প্রসঙ্গেও মোদী সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "রাজ্যের বকেয়া রয়েছে নাকি। দিল্লির কাছে আমিও জানতে চাইছি ৯৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব এল কোথা থেকে? ৪৩ হাজার কোটি টাকা আম্ফান সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য তা নয় বোঝা গেল৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চড়ে যে খরচ করেছেন সেই খরচ দাবি করছেন সেই হিসেবে। পার্টির লোককে সরকারি পয়সায় পুষবে আর সেই টাকা দিল্লি দেবে? কেন? অন্য রাজ্য তো কান্নাকাটি করে না, কেন টাকা নেই টাকা নেই বলে। এসব দাবি খালি এই রাজ্যে। সবসময় মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন, আর দিল্লির প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন। বাংলার মানুষ কি বুঝতে পারেনা এসব!"
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ। রাজ্যের হিংসা, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, "বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়। বাংলাদেশে অপরাধ করে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। দেশের সর্বত্র , পাঞ্জাবে অপরাধ করে এসে বাংলায় লুকোচ্ছে। এটা একটা টেরোরিস্টদের হাব হয়ে গেছে। সমাজ বিরোধী এবং গুন্ডাদের হাব বাংলা। এখানকার সরকার কতটা অকর্মণ্য তা এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে। কোনো খুন হলেই বিজেপির হাত দেখেন। এখন নিজেদের পার্টির লোক নিজেদের মারছে। প্রত্যেক এমএলএ এমপি নিজেদের নেতারাই আতঙ্কে ভুগছেন। পার্টির মধ্যে লুটপাট হচ্ছে।"
এর পাশাপাশি রামপুরহাট ও হাঁসখালির ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের 'পুলিসমন্ত্রী' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, "লজ্জা থাকা উচিত। ১১ বছর ধরে উনি পুলিশ মন্ত্রী কি করেছেন?? প্রথমে বিরোধীদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সফল ও হয়েছেন। ওর কথা চলছে না, শুনছে না তাহলে ওনার পদত্যাগ করা উচিত। পার্টিতেও কমিটি করেও লাভ হচ্ছে না কথা কেউ শুনছে না ওর।"
আরও পড়ুন, Health: স্বাস্থ্য দফতরে রদবদল, উত্তরকন্যায় বদলি স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে