নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপি। শনিবার সকালে তাঁর পানিহাটির বাড়িতে যান বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পল। সন্ময়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,''ইরাক, সিরিয়াতেও এমন হয় না। স্বৈরাচারী সরকার শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর পরিবেশ।''     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইউটিউব, ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁকে সাইবার অপরাধে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিন তাঁর পানিহাটির বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পল। বিজেপি নেতাদের এই সৌজন্যে খুশি সন্ময়ের পরিবার। যদিও সন্ময়ের বাড়িতে বিজেপির প্রতিনিধিদের পা রাখা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করছে তৃণমূল। পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের দাবি, সন্ময় আসলে বিজেপিরই লোক। সন্ময়ের পরিবার অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের পাল্টা দাবি, সন্ময়কে বাগে আনতে না পেরেই উল্টোপাল্টা বলছে তৃণমূল। 



সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূলকে। দিলীপবাবুর কথায়, ''ইরাক, সিরিয়াতে এমন হয় না। স্বৈরাচারী সরকার শেষ সীমায় পৌছে গিয়েছে।'' তিনি আরও বলেন,''সমন্ময়বাবু অন্য দলের লোক। যদি আমাদের সাহায্য চান, আমরা রাজি। আইনি সহযোগিতাও করব।''


সন্ময়ের গ্রেফতারি ঘিরে ইতিমধ্যেই একযোগে পথে নেমেছে বাম-কংগ্রেস। শুক্রবার একযোগে খড়দা থানায় বিক্ষোভ দেখায় তারা। শনিবার  এই নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অফিস থেকে মৌললি পর্যন্ত মিছিল কে কংগ্রেস। এবার সন্ময়ের পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিজেপিও।


প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়িতে চড়াও হয়ে চলছিল হুমকি। রাজ্যের একাধিক থানায় সন্ময়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে আগরপাড়ার বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা আদালতে পেশ করে পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। তাঁকে ২ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠান বিচারক। 


ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি, শান্তিভঙ্গ, গুজব ছড়ানো এবং জালিয়াতি ও মানহানির জন্য জালিয়াতির মতো একাধিক অভিযোগ এনেছে পুলিস। তথ্য -প্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারাতেও আনা হয়েছে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে সন্ময়কে, জনা পঞ্চাশের একটি দল তুলে নিয়ে যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারের কথা জানায়নি খড়দহ থানা। 


আরও পড়ুন- অভিজিৎকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য না করে বৃহত্তর লক্ষ্যে মন দিন, বললেন বিজেপি নেতা