Dilip Ghosh: `যার বংশ চোর, তারা বড় কথা বলে কী করে`, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
কালীঘাটের কাকু, কালও দাবি করেছেন স্যারের কাছে অব্দি পৌঁছানো যাবে না। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘জানিনা কে কী দাবি করছেন। অনেকে অনেক কিছু দাবি করেছিলেন। দেখতে পাচ্ছেন তাদের অবস্থা। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাকে জবাব দিতেই হবে। দোষ করেনি তাহলে ঘাবড়ানোর কোনও কারণ নেই’।
সৌমেন ভট্টাচার্য: রবিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে এসেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের বক্তব্য সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেক ব্যানার্জিকে দীর্ঘক্ষণ জেরা সিবিআইয়ের। তিনি বেরিয়ে এসে বলেন, তার নবজোয়ার যাত্রাকে বন্ধ করার জন্য বিরোধীরা চক্রান্ত করেছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঝড়েই তো বন্ধ হয়ে গেছিল নবজোয়ার যাত্রা তখন তো কিছু বলেনি। উনি রেস্ট পেয়ে গেলেন ধন্যবাদ দিন সিবিআইকে। নবজোয়ার করুন না সারা বছর কে মানা করেছে। কিন্তু যখন উনি বলেছেন সহযোগিতা করবেন তাই সিবিআই ডেকেছে, সহযোগিতা করা উচিত আবার উল্টোপাল্টা বলছেন কেন’।
এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছেন মদন মিত্র। সেই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘দেখুন ওগুলো ওদের পার্টির ভেতরের ব্যাপার সেই নিয়ে কিছু বলবো না। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নেই, দালালি চলছে। যে নেতা যেমন পাচ্ছে কাজ করে নিচ্ছে। কাজ আটকালেই গন্ডগোল। কোন সিস্টেম নেই। সবাই নিজের মতো চালাচ্ছে। পার্টির উপরেও কোনও কন্ট্রোল নেই। নেতারা জেল যাওয়ার থেকে বাঁচার চেষ্টায় কোর্ট কাছারি করতে করতে যাচ্ছে। পার্টি ডামাডোল তার মধ্যে সমস্যা হয়েছে পুরানোরাও বুঝতে পারছে আমার কোনঠাসা হয়ে যাচ্ছি’।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে বলেছেন প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গিয়েছে, সেই বিষয়ে দিলীপ বলেন, ‘আমার নাম জপ করে বাঁচতে পারবেন না। আমি তো ভগবান নই যে আমার নাম নিলে বেঁচে যাবেন। যে যা করেছে তার জবাব দিতে হবে। কোর্টে গিয়ে দিতে হবে দিলীপ ঘোষকে যেদিন ডাকবে দিলীপ ঘোষ গিয়ে জবাব দেবে’।
কুন্তল ঘোষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছে সেই জায়গা থেকে সুদীপ্ত সেনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হচ্ছে না কেন সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কে কাকে দিয়ে চিঠি লিখেছে কেন লেখাচ্ছে এটা পাবলিকও জানে। যাকে চিঠি লিখতে চাপ দেওয়া হয়েছিল সেই মহিলাকে তিনি বলেছেন সিআইডি এসে আমাকে ধমকাচ্ছে অমুকের নামে চিঠি লিখে দাও। অমুকের নামে কমপ্লেন করে দাও এগুলো সব বানানো ব্যাপার। সিবিআইও জানে কে কোথায় আছে খালি তথ্য জোগাড় করছে তারপর সবার ওখানে জায়গা হবে সেই জন্য আপনি কাউকে দিয়ে চিঠি লিখে দেবেন তাকে ডেকে নেবে, সিবিআই কি এত বোকা ভাবছেন কেন। মাটির তলা থেকে খুরে টাকা পয়সা বার করে দিচ্ছে বাকি সবও বের হবে’।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: এসএসকেএমকাণ্ড, মদন মিত্রের বিরুদ্ধে দায়ের একাধিক ধারায় এফআইআর
কালীঘাটের কাকু, কালও দাবি করেছেন স্যারের কাছে অব্দি পৌঁছানো যাবে না। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘জানিনা কে কী দাবি করছেন। অনেকে অনেক কিছু দাবি করেছিলেন। দেখতে পাচ্ছেন তাদের অবস্থা। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাকে জবাব দিতেই হবে। দোষ করেনি তাহলে ঘাবড়ানোর কোনও কারণ নেই’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা। যদি তাই হয় গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন নারোদার প্রাইম একিউসড শুভেন্দু অধিকারী যাকে ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে তিনি এখনও পর্যন্ত বাইরে রয়েছেন কেন। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনার পার্টিতে আরো ৬ জন টাকা নিয়েছে সবাই কি ভেতরে গিয়েছে? কেস চলছে তদন্ত চলছে। যখন কোর্ট মনে করবে ভেতরে পাঠাবে তাদের পুরো পার্টিটাই তো ভেতরে চলে যাবে’।
আরও পড়ুন: Suvendu On Abhishek: লাগল কেমন ৯ ঘণ্টা...দেখ কেমন লাগে! নিশানা শুভেন্দুর, পাল্টা দিলেন অভিষেক
মানিকতলা উপনির্বাচন কেন্দ্রে আবার নির্বাচন চেয়ে গণতন্ত্র বাঁচাও কমিটির হোর্ডিং প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন কমিশন আছেন দেখছেন এখানেও তো পঞ্চায়েত নির্বাচন চেয়ে আমরা বলছি নির্বাচন হোক। দু'বছর ধরে কর্পোরেশন, মিউনিসিপালিটি ইলেকশন আটকে রেখেছেন তারা কোন মুখে বলেন গণতন্ত্র চাই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখুন’।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার থেকে নব জোয়ার যাত্রা শুরু করবেন তার দাবি আরো ১০ গুণ মানুষ হবে। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘উনি কী দাবি করছেন যায় আসেনা। যাত্রা হচ্ছে না মারপিট ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এটা তো আমরা দেখলাম কারা আছে। ওদের পার্টির গুন্ডারা নিজেরা মারামারি করছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোথাও সম্পর্ক নেই সাধারণ মানুষ কেউ দেখতেও যায় না’।
পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর জেলাতে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রমান দিন না, চোরেরা কি বলল কি যায় আসে। অনেকে অনেক কিছু বলছে বাঁচার জন্য লোকেরা তদন্ত করার জন্য কোর্টে গেছেন কোর্ট সিবিআই-এর নির্দেশ দিয়েছে। সিবিআই তথ্য নিয়ে এসে যে কোনও লোকের নামে গিয়ে কমপ্লেন করতে পারেন। আমাদের নামেও কেউ কেউ কোর্টে গিয়েছিল। চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যায় বংশ চোর, তারা বড় বড় কথা বলে কি করে’।