নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। ভারতীয় হিন্দুই হবে সারা বিশ্বে মানবতার রোল মডেল, মোহন ভগবতের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাগবত একদম ঠিক বলেছেন। দুনিয়াতে এখন আদর্শবাদের ক্রাইসিস সহনশীলতার ক্রাইসিস, উদারতার ক্রাইসিস যেটা আমাদের পূর্বপুরুষরা চিরদিন করে এসেছেন, দেখিয়ে এসছেন। সেই জন্য বিশ্ব বিভিন্ন সময়ে সংকটে পড়েছে। আর্থিক, রাজনৈতিক সবরকম সংকটের মাঝেই ভারত এগিয়েছে। আফগানিস্তানে ওষুধ পাঠানো থেকে শুরু করে ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করা। সবই মোদী করেছেন। সারা দুনিয়ায় ওষুধ, ভ্যাকসিন ভারত দিয়েছে। তিনি আরও বলেন যখন সব বিচারধারা ব্রাত্য প্রমাণিত হয়েছে তখন ভারতীয় জীবন পদ্ধতি, জীবন দর্শন দুনিয়া কে রাস্তা দেখাবে। এই জন্য ভারতীয় হিন্দু কে তার উপযুক্ত মডেল হিসাবে তৈরী হতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন আবার গ্রীনিস বুকে নাম উঠতে চলেছে তাঁর। তিনি আরও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি একদিনে ৫০০ পুজো উদ্বোধন করেছেন। সেই কারণেই নাম উঠবে তাঁর।


দিলীপ ঘোষ বলেন যে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওটাই করতে পারেন। অন্য কোনও ভাবে নাম উঠবে না ওনার। সারা পশ্চিমবাংলার পুজোকে উনি ৬০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। সবটাই ফিজিক্যালি অথবা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। ওটা করলেই ওনার গ্রীনিস বুকে নাম উঠবে’।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ঢাক বাজানো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন ‘এখন আর কেউ বাজাচ্ছে না তাই নিজের ঢাক নিজেকেই পেটাতে হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারীতার অন্তিম পরিণতি এটাই হয়।‘


পুজো নিয়ে বাংলার মানুষকে তিনি বলেন, ‘বিপদ কেটে গিয়েছে করোনার। সেইজন্য পুজো দেখতে আপত্তি নেই। উৎসাহে এবার পুজো হচ্ছে ধুমধাম করে। সবাই পুজো দেখুন। যাঁরা অধিকারের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদেরকে আমি অনুনয় করবো আপনারা আন্দোলন বন্ধ রেখে আসুন পুজোর আনন্দে মেতে উঠুন। পরিবারের লোকেদের সময় দিন। বন্ধু বান্ধবদের সময় দিন। লড়াই করতেই হবে। পশ্চিমবাংলার কপালে এটাই লেখা আছে স্ট্রাগল করা। আর এই সরকার যতদিন আছে অধিকার পূর্ণ হবে না লড়াই করতেই হবে'।


তিনি আরও বলেন, ‘কিছু লোক তো জেলে থাকবে সেটা ঠিক হয়েই গেছে। আর চান্স নেই বেরোবার। বাকিরা নোটিশ পাচ্ছেন। পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে থাকছেন মানিক বাবু। অনেকেই চিঠি পেলে অন্য রাজ্যে পালিয়ে যাবেন। বাংলার বাইরে বা অন্য দেশে চলে যাবেন। এটা হবেই যারা এতদিন মানুষকে কষ্ট দিয়েছে তারা এই পুজোয় আনন্দ করতে পারবে না’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)