নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন না মানার যে  প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা সমাজের এক অংশের মানুষ করছেন। আর তাকে কেন্দ্র করেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে সেই সব জায়গায় পুলিস কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনই তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, সংঘর্ষ চলছে। অথচ দলীয় সাংসদদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রসঙ্গত হুগলির ভদ্রেশ্বর, তেলেনিপাড়া এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমার প্রশ্ন কিছুদিন আগে একটা ট্রেন এসে থেমেছিল। সেই ট্রেনের যাঁরা যাত্রী ছিলেন, তাঁদের সম্বন্ধে সরকার খোঁজখবর নিক।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন দেশকে। গত ২ মাস ধরে দেশের মানুষ দেশের জিনিস ব্যবহার করছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এটা খুব ভালো দিক। আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সাহায্যের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন?" প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।


রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তাঁর প্রশ্ন, "এরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্যাকেজ কোথায়? শুধু ভাষণ দেওয়াই কি কাজ ওনার? কেন এত কম সংখ্যক ট্রেন রাজ্য সরকার চাইল কেন্দ্রের কাছে? প্রধানমন্ত্রী ৫ বার এরমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁদের মতামত নিয়েছেন। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কারোও মতামত নেন না। কতবার সর্বদলীয় মিটিং করেছেন?" বলেন, "তাঁর কাজ শুধু দায় চাপিয়ে দেওয়া আর অন্য লোকদের বলি করা। আসলে মোদীর সমালোচনা করার কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না বিরোধীরা। তাই তারা কিছুটা হতাশ।" করোনায় পশ্চিমবঙ্গ মৃত্যুতে এগিয়ে রয়েছে আর টেস্টিং-এ পিছিয়ে রয়েছে বলেও এদিন তোপ দাগেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।


আরও পড়ুন,