`টাকা নেই? টাকা নেই?... রাজ্যকে কেন্দ্রের দেওয়া ৩০৮৬ কোটির কোনও হিসেব নেই`
`... মাত্র ৩৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছে। এখনও ৩৪ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফেরার জন্য বসে রয়েছে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : "মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও বিষয় বলতে শুরু করেন টাকা দিয়ে এবং শেষও করেন টাকা নিয়ে। টাকা দিচ্ছে না, টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র বলে বারবার সরব হন। এদিকে ২০০৯ সাল থেকে রাজ্যকে দেওয়া ৩০৮৬ কোটি টাকার কোনও হিসেব নেই।" এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, "আয়লা, বুলবুল, নদী সংস্কার সহ একাধিক খাতে ২০০৯ সাল থেকে রাজ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা এসেছে। সেই টাকার কোনও হিসেব নেই। অথচ উনি শুধু কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, টাকা দিচ্ছে না বলে চিৎকার করেন। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে ভেরি হচ্ছে বেআইনিভাবে। ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়ে পড়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় সহ্য করার শক্তি হারাচ্ছে সুন্দরবন। রাজ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একজন মন্ত্রী আছেন। অথচ গত ৭দিন তাঁকে কোথাও দেখা যায়নি।"
তোপ দাগেন, "কোনও কাউন্সিলর, মন্ত্রীকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। CESC-র ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় সাড়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ, জল না পেয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালে কাউন্সিলর ও শাসকদলের নেতারা তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন।" আমফান বিপর্যয়ের পাশাপাশই এদিন ফের একবার পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতেও রাজ্যকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, "পরিযায়ী শমিকদের রাজ্য আর ফেরাতে চাইছে না এখন। সব রাজ্য একাধিক ট্রেনে তাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত নিয়ে গেল। অথচ আমাদের রাজ্য শুধুই ভাঁওতা দিল পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে। মাত্র ৩৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছে। এখনও ৩৪ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফেরার জন্য বসে রয়েছে।"
পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের সাফ কথা, "তারা ফিরলে যেটুকু দরকার তা হলে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে সঠিক মতো রাখা। রাজ্যে সেই ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকু পর্যন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না। চিকিৎসার কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভারগুলির ঘাড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।"
আরও পড়ুন, উদ্বেগের মধ্যেই খানিকটা স্বস্তি, কমতে চলেছে করোনা টেস্টিংয়ের খরচ