অয়ন ঘোষাল: সোমবার ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’-কে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এরপরে দেশজুড়ে বিজেপি নেতাদের আক্রমণের মুখে পড়েছে রাজ্যের সরকার। মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমণের পরে ইকোপার্কে এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরালা স্টোরি


এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মত, ‘কেরালা নিয়ে সিনেমা হলে বাংলায় ব্যান হয়। বাংলা নিয়ে যদি সিনেমা হয়, সারা দেশে কি অবস্থা হবে ভাবুন। মমতা সত্যকে ফেস করতে সাহস পাননা। সত্যের সঙ্গে থাকতে কষ্ট পান। উনি মিথ্যার সঙ্গে থাকতে চান। সত্যকে চাপা দিতে চান। তাই বহু বছর ধরে চলা একটি সমস্যা নিয়ে তৈরি এই সিনেমা উনি ব্যন করলেন। সিনেমার উদ্দেশ্য সত্যকে তুলে ধরা। আদালত আটকায়নি। সেন্সর বোর্ড আটকায়নি। উনি আটকে দিলেন। কারণ বাংলার মানুষকে উনি সত্য জানতে দিতে চান না। কেবল ভোটের চিন্তা ওনার। দেশের মানুষের মতো চিন্তা ওনার নেই। উনি সব সত্য চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেই তো মানুষ আজ ওনার বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়েছে’।


মণিপুর হিংসা ম্যান মেড: মমতা


দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘যারই মেড হোক, উত্তর পূর্ব ভারত এক সময় হিংসার আগুনে জ্বলত। তারপর মানুষ বিজেপিকে সেখানে এনেছে। এখন হিংসাও নেই। বোমা-বন্দুক নেই। কিছু আঞ্চলিক সমস্যা আছে। ওখানে অনেকগুলি জনজাতির বাস। কিছু ছোট ব্যাপার আছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। মণিপুর বিগত দিনে প্রচুর সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এই সমস্যা থেকেও বেরিয়ে আসবে’।


আরও পড়ুন: Samaresh Majumdar Passed Away: সমরেশ-প্রয়াণে বাংলায় টুইট মোদীর, 'গভীরভাবে শোকাহত' শাহ


মঙ্গলবার শাহ-বিএসএফ বৈঠক


এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গরুপাচার মামলায় ইডির চার্জ শিটে বিএসএফ-এর নাম আছে। সমাজের সর্বস্তরে সাধারণ মানুষের মধ্যে কারুর দোষ থাকতেই পারে। ইডি কাউকে ছেড়ে দেয়নি। এত বড় ব্যাপার। হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাপার। কেউ কেউ ভেসে যেতেই পারে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজে স্পটে যাচ্ছেন, খোঁজ খবর নিচ্ছেন, আমরা আশা করব পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে গরুপাচার রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।


তিনটে আসনে তিন লাখ ভোটে জিতব, বহরমপুরের দায়িত্ব নিচ্ছি: অভিষেক


দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘মমতা বীরভূমের দায়িত্ব নিচ্ছেন। উনি মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাহলে বাংলার দায়িত্ব কে নেবেন? উনি টার্গেট দিয়েছেন ৪০। আগেরবার মমতা টার্গেট দিয়েছিলেন ৪২। তখন ১২টা সিট কমেছিল। এবার কটা কমবে? জানিনা আরও ১২টা কমবে কিনা। সময় বলবে। যেভাবে পার্টি ও সরকার চলছে, মানুষ মুক্তি চাইছে। সাগরদিঘিতে একটা ট্রেলার হয়েছে। সিনেমা শুরু হলে কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না’।


আরও পড়ুন: Kurmi Movement: 'আপনাদের সঙ্গেই আছি', পিংলার বিধায়কের মন্তব্যের জন্য কাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মমতা?


২০১৯ সালে ১২ আসন হাতছাড়া বলেই বাংলার টাকা আটকে রাখছে কেন্দ্র: অভিষেক


এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এবার যদি আরও ১২টা বেরিয়ে যায়, তাহলে কি হবে? কমা শুরু হয়েছে। সারা দেশে গুটিয়ে গিয়ে এখন কালীঘাটে ঠেকেছে। মানুষ বলছে এই ধরনের অত্যাচারী ও ভ্রষ্টাচারি সরকার চলবে না। টাকা খরচের হিসেব দিন। কেউ আপনার টাকা আটকাবে না’।


দলে বেনোজল ঢুকেছে: অভিষেক


এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘পুরো তৃণমূল কংগ্রেস একটা বেনোজল। সারা সমাজের আবর্জনা নিয়ে তৃণমূল চলছে। এর নাম হওয়া উচিৎ আবর্জনা পার্টি’।