নিজস্ব প্রতিবেদন:  সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "জল-স্থল-আকাশপথে দেশ রক্ষায় যা করার, তাই করছে সেনা।ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে চোখ তুলে তাকানোর শক্তি কারও নেই। আমাদের কাছে সেই শক্তি আছে।" চিন যে ভারতের সীমান্ত পেরোতে পারেনি সেকথাও স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কি এবারও '৬৭ সালের মতো ভারতই চিনকে আক্রমণ করবে? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। তিনি বললেন, "এখন আধুনিক যুগ, সবকিছুই স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে। বালাকোর্টেও আক্রমণের প্রমাণ রয়েছে। সময় সবকিছুরই জবাব দেবে।"
দিলীপ ঘোষের কথাতেই অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস ধরা পড়েছে। ভারতকে যারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করবে, তারা উচিত শিক্ষাই পাবে বলে এদিন দৃঢ় কন্ঠে বলেন তিনি।
শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সীতারাম স্ট্রিটের 'চায়ে পে চর্চা'য় যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমানে পরিস্থিতিতে চিন ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তখনই তিনি এই উত্তর দেন।
পাশাপাশি, মেদিনীপুরে খুন হয়ে যাওয়া বিজেপি কর্মী প্রসঙ্গেও এদিন ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, "তৃণমূল কর্মীরাই তাঁকে খুন করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেওয়া চিঠি বিলি করার সময়ই তৃণমূল কর্মীরা তাঁর ওপর তলোয়ার নিয়ে হামলা করেন।" উল্লেখ্য, শনিবারই তিনি দাঁতনে নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যাবেন।
'কোনও আগ্রাসন হয়নি, উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে... সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে কোনও বন্ধুত্ব চায় না ভারত'
যদিও এই খুনের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ হুঙ্কার ছেড়েছেন 'বদলাও হবে, বদলও হবে।' এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মেদিনীপুরে আমাদের কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা এর বদলা চাই, বদল তো হবেই।" তিনি কি হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন? প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষের সরাসরি জবাব, "হুঁশিয়ারি নয়, এবার কাজে করে দেখাব। সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতেও যাঁরা ঘৃণ্য কাজ করে, সেই সব সমাজবিরোধীদের তাদের ভাষাতেই উত্তর দেবো।"
বলাইবাহুল্য হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে এই ধরনের কথায় কতটা বিচলিত হতে পারে সমাজ, তা নিয়ে চিন্নিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।