নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁকে পূর্ণমন্ত্রী করা হতে পারে জল্পনা চলছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত মন্ত্রিত্ব পাননি দিলীপ ঘোষ। বাংলা থেকে বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু কেন দিলীপেক শিঁকে ছিড়ল না? বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, মন্ত্রিত্ব নিতে আগ্রহী নন, সে কথাই আগেই শীর্ষ নেতৃত্বকে বলে দিয়েছিলেন। বাংলা দখলের লক্ষ্য এখনও পূরণ হয়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর থেকে বাংলায় বিজেপির সংগঠনে যে জোয়ার এসেছে, সে কথা অনস্বীকার্য। প্রথমবার খড়্গপুর থেকে প্রার্থী হয়েও জিত হাসিল করেছেন। আবার লোকসভা ভোটেও মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে মাত দিয়েছেন দিলীপবাবু। এহেন দিলীপ ঘোষকে মন্ত্রী করা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে বিজেপির রাজ্য সভাপতিরা মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। আপনি কেন পেলেন না? শুক্রবার রাজ্য দফতরে সাংবাদিকদের মজার ছলে দিলীপ বলেন,'আমাকে যোগ্য মনে করা হয়নি'। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়,'আমি আগেই বলে দিয়েছি, সংগঠনে কাজ করতে আগ্রহী। মিশন পুরো হয়নি। তৃণমূল ১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ হবে বলেছি। যতদিন না সাফ হয়, ততদিন লক্ষ্যে অবিচল থাকব'।



বিজেপির অন্দরে কান পাতলে অবশ্য অন্য কথা শোনা যাচ্ছে। ২০২১ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে দিলীপের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে কি দিল্লিতে যেতে চাইলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি? দিলীপের জবাব,'মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নই নেই। প্রশ্নটা হল পরিবর্তন। সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে চলি। অনুশাসন রয়েছে আমাদের দলে'।


সদ্য বিজেপিতে যোগদান করেছেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। এনিয়ে দলে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সে কথা মেনে নিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,'বর্তমানে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি, আগামী দিনে তাঁরাও আসতে পারে। অনেক নেতা সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে। তবে বাধ্যবাধকতা থাকে। দলে কারও অসন্তোষ নেই। তবে দুশ্চিন্তা রয়েছে। এটা পার্ট অব দ্য গেম। অন্য দল থেকে লোক না নিলে পার্টি বাড়বে কীভাবে? ক্ষমতায় আসব কীভাবে?' 


আরও পড়ুন- মাত্র ২জনকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা, দিল্লিতে শুনিয়ে এসেছেন দিলীপ