Dilip Ghosh: `ঠেলায় পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে`, মমতার মোদী সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপের
কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয় এদিন রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেছিলেন, শুভেন্দু হয় ক্ষমা চাইবে, নাহলে বীরবাহার জুতো পালিশ করাব। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতার কটাক্ষ, `এসব ডায়লগ দিয়ে কিস্যু হবে না।
অয়ন ঘোষাল: পাঁচ ডিসেম্বর মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হতে পারে রাজ্যের বকেয়া টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে। আগামী পাঁচ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে পাঁচ ডিসেম্বর এই বৈঠক হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মোদী আলাদাভাবে কথা বলতে পারেন। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ''যাকে নেমন্তন্ন করলে দিল্লি যায় না, সে হঠাৎ আগ বাড়িয়ে দিল্লি যেতে চাইছে কেন? আসলে ঠেলায় পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে।''
আরও পড়ুন, 'গভীর ভাবে শোকার্ত; তাঁর অকাল প্রয়াণে অভিনয় জগতের বড় ক্ষতি' ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী
কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয় এদিন রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেছিলেন, শুভেন্দু হয় ক্ষমা চাইবে, নাহলে বীরবাহার জুতো পালিশ করাব। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতার কটাক্ষ, 'এসব ডায়লগ দিয়ে কিস্যু হবে না। যদি মনে হয় কোর্টে যান। আদালত বিচার করবে। দ্রৌপদী মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইতে ১৫ দিন নেন। আপনারা যে ভাবে সাংবিধানিক পদের অবমাননা করেছেন, তার জন্য ক্ষমা কে চাইবে? উনি নিজে কোনওদিন ক্ষমা চেয়েছেন? দ্রৌপদী কাণ্ডে গোটা বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন।'
দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি করেছিলেন কুণাল। সেই প্রসঙ্গেই দিন দিলীপ জানান, কারা এসব বলছে? যারা পশ্চিমবাংলায় লুঠের রাজত্ব কায়েম করেছে? কারা দাবি করছে? যারা হরিশ মুখার্জি লেনকে হরিশ ব্যানার্জি লেন করে দিয়েছে। ৩৬ টা প্লট লুঠ হয়েছে ওখানে। এর চেয়ে হাস্যকর কি হতে পারে? আমি বলছি, তোমাদের দম থাকলে গ্রেফতার করে নাও। সিবিআই ইডি এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। আসল দলিল ব্যাঙ্কে আছে। প্রসন্ন ওই আবাসনের ইনচার্জ। আমি চিনতাম। আমার ইলেকট্রিক মিটারে নাম বদলের জন্য ওকে জেরক্স কপি দিয়েছিলাম। আমি লোন নিয়ে বাড়ি কিনেছি। তাতে ওদের খাওয়া ঘুম উড়ে গেছে। আর নিজেরা লুঠ করে একাকার করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কৌশল, রবিবার থেকে তৃণমূলের চাটাই বৈঠক নন্দীগ্রামে