কেন্দ্র সাহায্য করতে প্রস্তুত, তবে কোনও সরকার লিজ আমরা নেব না : দিলীপ
`সরকার ভাঙা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। তবে কোনও সরকার যদি ভেঙে পড়ে, তার দায়ও আমাদের নয়।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সাহায্য করার জন্য প্রস্তু আছে। কিন্তু তাই বলে কোনও সরকার লিজ নেবে না বিজেপি। এমনই বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাংলা। একদিকে করোনা, অন্যদিকে আমফান। জোড়া ফলায় বিদ্ধ বাংলার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "যেদিন ঝড় এসেছিল, তার পরদিনই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। কেন্দ্র সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তাই বলে আমরা কোনও সরকার লিজ নেব না।"
পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ ফের একবার অভিযোগ করেন, এরাজ্যে কোনও লকডাউন মানা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত গতকাল দিলীপ ঘোষ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, তাঁরা ত্রাণ দিতে বেবরলেই তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে রাস্তায় নামবেন তাঁরা। কে কী করতে পারেন দেখে নেবেন। যদিও এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলে তাঁরা লকডাউন ভাঙছেন না। তাঁর সাফ দাবি, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ব্যর্থ আমফান মোকাবিলাতেও। আর সরকারের এই অসফলতা ২-৩ মাসেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রাজ্য়ে কি তাহলে ৩৫৬ ধারা বা রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করতে চলেছে বিজেপি? সেই সম্ভাবনার কথা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সরকার ভাঙা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। তবে কোনও সরকার যদি ভেঙে পড়ে, তার দায়ও আমাদের নয়।" রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা নিয়েও এদিন রাজ্য বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, আগামী ১ বছর ধরে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু তারজন্য সব বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের আসবেই। তার ফলে সংক্রমণ বাড়তেই পারে। এক্ষেত্রে কলকাতা ও যে জেলাগুলিতে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ছে, সেখানে কড়াকড়ির দরকার আছে।
উল্লেখ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে রাজ্য-রেল তরজা বেঁধেছে। রাজ্যের আপত্তি না শুনেই রেল ট্রেন পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিন সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সাফ বলেন, "লোক নিয়ে আসা বা পাঠানোর দায়িত্ব রাজ্যের।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ২১ কোটি টাকার ত্রাণ ঘোষণা করেছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রেরও কোনও আয় নেই। তাই সমস্যা কারও একার নয়, সবার।
আরও পড়ুন, ‘রাজ্যকে না জানিয়েই পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন পাঠাচ্ছে রেল, সংক্রমণ হলে দায় কে নেবে!’