Dilip Ghosh: `রবিবারেই সত্যিকারের দেশ স্বাধীন হল`, কেন এমন বললেন দিলীপ ঘোষ?
ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রেখে, সংসদের নবনির্মিত ভবনে লোকসভায় ৮৮৮ জন সদস্য এবং রাজ্যসভায় ৩৮৪ জন সদস্যের আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যসভায় ২৫০ জন সদস্যের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। বিজেপি নেতার মতে, ব্রিটিশদের তৈরি ভবন থেকে দেশের তৈরি ভবনে পা রাখলাম।
অয়ন ঘোষাল: রবিবারই নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Bhavan) পায় দেশ। 'নতুন সংসদ ভবন আত্মনির্ভর ভারতের সূর্যোদয়ের সাক্ষী', আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নতুন সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে নিজের ভাষণে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi)। নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন পর্বও বিতর্কিত হলেও সোমবার দিলীপ ঘোষ জানালেন, এটি ঐতিহাসিক দিন। বিজেপি নেতার বক্তব্য, 'ভগবান এবং সাধারণ মানুষ যাদের সুযোগ দিল এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকার তাঁদের দুর্ভাগ্য,এমন দল থেকে তাঁরা নির্বাচিত যে দল তাদের এই সুযোগ নিতে দিল না। আমাদের সৌভাগ্য এই অমৃতকালে সাংসদ হয়েছি এবং এই সৌভাগ্য পেয়েছি।
আরও পড়ুন, New Parliament House: নতুন সংসদকে কফিনের সঙ্গে তুলনা! আরজেডি-র ট্যুইটে তোলপাড় নেটপাড়া
তবে তৃণমূল নেতার মত খানিকটা ভিন্ন। সৌগত রায় বলেছেন, 'ইচ্ছা নেই। পুরনো ভবন ভালো ছিল।' এই মন্তব্যের পাল্টা দিলীপ বললেন, 'ইচ্ছা নেই না। আসলে ভাগ্যে নেই। আপনারা এমন পার্টি করেন যে পার্টি দেশের গৌরবের সাক্ষী থাকতে চায় না। এমন পার্টিকে ব্যন করে দেওয়া উচিৎ। পুরনো পার্লামেন্ট ভবনে জায়গা কম। বসার পরিসর ছোট। অনেক আগেই পরিবর্তন দরকার ছিল। কংগ্রেস আমলে স্পিকার মীরা কুমার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস নতুন কিছু করে না। সত্যিকারের দেশ স্বাধীন হল রবিবার। আমরা ব্রিটিশদের তৈরি ভবন থেকে দেশের তৈরি ভবনে পা রাখলাম।'
প্রসঙ্গত, ৯৬ বছর পর নতুন সংসদ ভবন পেল ভারত। যার পরিকল্পনা ও নির্মাণ ঘিরে শুরু থেকেই বিতর্ক বেঁধেছিল। তবুও নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন বহু দিক থেকেই নজর কাড়ল দেশবাসীর। সংসদের বর্তমান ভবনটি ১৯২৭ সালে তৈরি হয়েছিল এবং এখন প্রায় ১০০ বছর বয়সী হতে চলেছে। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী এই ভবনে জায়গার অভাব অনুভূত হচ্ছিল। উভয় কক্ষেই সংসদ সদস্যদের বসার সুবিধাজনক ব্যবস্থার অভাব ছিল যা সদস্যদের কাজের দক্ষতাকে প্রভাবিত করেছে।
নয়া সংসদ ভবনের মেঝেতে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে আনা কার্পেট পাতা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সে রাজ্যের প্রায় ৯০০ জন কারিগর ১০ লক্ষ ঘণ্টায় এই কার্পেটটি বুনেছেন। লোকসভা ও রাজ্যসভার মেঝেয় শোভা পাবে এই গালিচা। লোকসভা এবং রাজ্যসভার কার্পেটে জাতীয় পাখি ময়ূর এবং জাতীয় ফুল পদ্মের চমৎকার মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি শতাব্দীপ্রাচীন বাঙালি সংস্থাকে নতুন সংসদ ভবনের জন্য গালিচা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন, New Parliament Inauguration: রবিবার উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের, লোকসভায় 'সেঙ্গল' স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর