বাংলায় গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই, চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিসের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে সরব দিলীপ
এপিসি ভবনের সামনে থেকে রাতে জোর করে তুলে দেওয়া হল টেট আন্দোলনকারীদের। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন.....
নান্টু হাজরা: মধ্যরাতে সল্টলেক এপিসি ভবনের সামনে থেকে রাতে জোর করে তুলে দেওয়া হয় টেট আন্দোলনকারীদের। ২০১৪ সালে যাঁরা প্রাথমিকে টেট পাস করেছেন, তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের করুণাময়ী। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, এ সরকার কাজও করবে না। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। আমরা যখন রাস্তায় নামি সঙ্গে সঙ্গে পুলিস চলে আসছে, গ্রেফতার করছে, সরিয়ে দিচ্ছে লাঠি পেটা করছে।
তিনি আরও বলেন, যারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন, চাকরির জন্য এত দিন আবেদন নিবেদন করেছেন তারা অনশন করছেন তিন দিন ধরে। রাস্তায় ছিলেন, তাদের নির্মম ভাবে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। এই সরকার নিজে গণতন্ত্রের কথা বলে আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।
সল্টলেকে এ পি সি ভবনের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা কোনও রাজনৈতিক দলকে ডাকেননি। নিজের অধিকারের জন্য অন্দোলন করছে, যেহেতু মানবিক ব্যাপার তাই আমাদের নেতারা গেছেন, অন্য পার্টির নেতারাও এসেছেন। এর মধ্যে রাজনীতির ব্যাপার নেই। যে পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন তারা যে ভাবে জীবনকে বাজি রেখেছেন সব পার্টির লোকেরা সমর্থন করতে এসেছেন। সকলের করা উচিত।
আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, ইন্টারভিউ , পরীক্ষা বহুবার হয়েছে। কিন্তু রেজাল্ট আসেনি। নিয়োগ হওয়া চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন আমার হাতে এত লক্ষ চাকরি আছে কিন্তু তার জন্য পরীক্ষা হয় না। পরীক্ষা হলে রেজাল্ট হয় না, নিয়োগ হয় না। নিয়োগপত্র নিয়ে ঘুরে বেরোতে হয়। কেন চাকরি দিচ্ছেন না? সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করতে ইন্টারভিউ হচ্ছে। ইন্টারভিউ হওয়ার সাথে সাথে খালি পদে নিয়োগ হওয়া উচিত।
এদিকে টেট আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী দল পথে নামছে। দিলীপ বাবু মন্তব্য, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানুষের প্রতি অত্যাচার চলছে, অপশাসন চলছে। তার বিরুদ্ধে সমস্ত দলের প্রতিবাদ করা উচিত। আন্দোলন চলবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। এমন কি তাদের পার্টির মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে কেউ কাওকে সহ্য করতে পারছে না। অসহিষ্ণু পরিবেশ কেন তৈরি হচ্ছে? সরকার বিফল হলে এমন পরিবেশ তৈরি হয়।