অয়ন ঘোষাল: সোমবার রাজ্যজুড়ে পুনর্নির্বাচন। এরই মাঝে সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহসভপই দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি সরাসরি আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যপাল দিল্লী গেছেন ফ্রেশ এয়ার নিতে?


দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজনৈতিক দূষণ হয়েছে সেদিন। তার থেকে সবাই মুক্তি চাইছে। রাজ্যের মানুষও চাইছে। রাজ্যপালও চাইছে। রাজ্যপাল তো দিল্লি চলে গেলেন। রাজ্যের মানুষ কোথায় যাবে?’


৩৫৬ এতো সোজা না। বলছে তৃণমূল। তাহলে কি রাজ্যপালের দিল্লী যাত্রার সঙ্গে ৩৫৬ বা ৩৫৫ এর কোনো সম্পর্ক আছে?


তিনি বলেন, ‘ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ওদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। রাজ্যের মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করে মুক্তি চাইছে। গোটা দেশ গোটা বিশ্ব সেদিন দেখেছে, কী হয়েছে। এরপর এই সরকারের থাকার কোনও এক্তিয়ার নেই, প্রয়োজনও নেই। কিন্তু যেহেতু গণতান্ত্রিক ভাবে এসেছে, যাওয়াও সেভাবেই উচিৎ। কিন্তু ততদিন এরা থাকলে বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে’।


আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: 'তৃণমূল যদি বুথে অরাজকতা করত, তাহলে ৯০-৯৫ শতাংশ ভোট পড়ত'!


আপনারা কি এরপরেও আশাবাদী? কোনও জেলা পরিষদ পাবেন?


তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আশাবাদী। আমাদের কোর এলাকায় আমরা ভোট করিয়েছি। যেখানে গোলমাল ছিল, সেখানে আমরা আগে থেকেই প্রার্থী দিতেই পারিনি। এমনও হয়েছে, প্রার্থী হতে কেউ রাজি হয়েছে, কিন্তু নামের প্রস্তাবক পাইনি। ভয়ের পরিবেশ ছিলই। আরও এরকম ২০ শতাংশ মতো জায়গা আছে, যেখানে আমরা প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু ভোট করানো যায়নি। ভোটার বেরোয়নি। এজেন্ট বসতে পারেনি। দখল হয়ে গিয়েছিল। জেলা পরিষদ পাবো। অবশ্যই পাবো। উত্তর দক্ষিণ মিলিয়ে পাবো। কটা বলা মুশকিল। তবে পাবো অবশ্যই’।


বেনজির ভাবে এবার মৃতের তালিকায় শাসক দলের নাম বেশি


দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওদের লোক না। ওরা সমাজবিরোধী, গুন্ডা। ওদের দিয়ে এরা ভোট করাত। এবার পারেনি। সাধারণ মানুষ এবার তৈরি ছিল। পাবলিক গাছে বেঁধে পিটিয়েছে। ফলে গুন্ডারা কেউ কেউ মারা গেছে। তৃণমূলের লোক মানে গুন্ডা। পুলিস আর গুন্ডা ছাড়া এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে কেউ নেই। পুলিস চেষ্টা করছে এখনও। আজ সকালে জ্যাংড়া গিয়ে দেখুন। পুলিস রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছে। আর ভিতরে তৃণমূল দাঁড়িয়ে আছে। মিডিয়া ঢুকতে দিচ্ছে না। পুলিস প্রকাশ্যে বলছে, অন্য কেউ ভোট করবে না। শুধু তৃণমূল ভোট করবে। যেখানে মানুষ পেরেছে, গুন্ডাদের রুখে দিয়েছে’।


আরও পড়ুন: Humayun Kabir: 'এত লোকের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না', মর্মাহত হুমায়ুন কবীর


দলে কি এবার দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব ও দায়িত্ব বাড়বে?


তিনি বলেন, ‘আগে প্রেসিডেন্ট ছিলাম। তখন যা কাজ করতাম, এখন তার থেকে বেশি কাজ করি। বেশি ঘুরি। বেশি মানুষের কাছে যাই। আমি ৬ মাস আগে থেকে পঞ্চায়েতের জন্য ঘুরেছি। পার্টি যদি আমাকে বলে, এই কাজ করতে হবে, আমি প্রস্তুত। পার্টিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়না। কাজ করতে হবে জমিতে গিয়ে। আমরা অমিত শাহ কে দেখেছি যখন তিনি সভাপতি ছিলেন। তিনি ব্লকে মণ্ডলে গিয়ে গিয়ে মিটিং করতেন। তার ফলে সাড়া দেশে আজ পার্টি পৌছে গিয়েছে। এটাই বেসিক কাজ’।


এবার বিজেপি ভালোই মারপিট করেছে


দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কোথাও যদি করে থাকে, ঠিকই আছে। প্রতিরোধ করেছে। যেখানে শক্তি দেখাতে এসেছিল, আমরা আটকেছি। মানুষ তাড়া করেছে। কিন্তু পুলিস এসে আমাদের বাধা দিয়েছে। মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ মার খায়। আর তারা যখন প্রতিবাদ করে, তখন পুলিস তাদের ওপরেই লাঠি চালায় আর গ্রেফতার করে। গুণ্ডারা লুঠপাট করে খুন খারাপি করে চলে যায়, তাদের কেউ আটকায় না’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)