নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল এলে কি সুবিধা হবে বিজেপির? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পাল্টা বিরোধীদের প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, মিম রাজনৈতিক দল। সংবিধানই বলছে, তারা এ রাজ্যে লড়াই করতে চাইলে কেউ মানা করতে পারে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলায় মিম প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করার পর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন জল্পনা। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দিতেই মিমকে আনা হচ্ছে। নেপথ্যে রয়েছেন অমিত শাহ। এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, সংখ্যালঘু ভোট কার ইভিএমে পড়বে? দিলীপ ঘোষ বলেন,''মুসলিম ভোট আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। এরাজ্যে মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেন না। অন্য রাজ্যের কথা বলতে পারব না। যদি এখানকার মুসলিম ভোটাররা সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূলকে না দিয়ে অন্য কাউকে দেন, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা ধোঁকা দিয়েছে। সে কারণেই বিকল্প খুঁজছেন মুসলিমরা।''


বিজেপিকে নিয়ে কি অনীহা মুসলিমদের? দিলীপের কথায়,''বিজেপিকে বিকল্প মনে করেননি মুসলিমরা। তবে ধীরে ধীরে আরম্ভ করেছেন তাঁরা। সংখ্যালঘু মোর্চা বাড়ছে তাই।'' তাঁর সংযোজন, মুসলিম ভোটারদের কেনা মনে করে বিরোধীরা। তাঁদের গরিব করে রেখেছেন। মুসলিম বানিয়ে রেখেছেন, ভারতীয় হতে দেননি।  কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার মুসলিমরা। তাঁরা সিদ্ধান্ত কী নেবেন, এনিয়ে বিজেপির কোনও মাথাব্যথা নেই। কে কাকে বিশ্বাস করবেন, এতে আমাদের কোনও হাত নেই। এর পাশাপাশি দিলীপ স্পষ্ট করেছেন, ''মিম রাজনৈতিক দল। সাংবিধানিক অধিকারেই বাংলায় এসে কাজ করলে কেউ মানা করতে পারবে না।''


রাজ্যের পুলিসের উপরে ভরসা নেই বলে এ দিন জানান দিলীপ। তাঁর দাবি, ভোট এলেই ভয় পান পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। গুন্ডাদের সঙ্গে মিশে সরকারি দলকে সাহায্য করে পুলিস। ভোটপ্রক্রিয়ায় পুলিসকে সামিল করা যাবে না। যে ভাবে মমতা জিতে এসেছেন, সেভাবেই ভোট করাতে হবে।  


আরও পড়ুন- এড়ালেন ত্বহা, অধীর বললেন,'ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের তীর্থস্থান ফুরফুরা'