দার্জিলিঙের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় বিজেপি, স্বামীর টুইটে মন্তব্য দিলীপের
দার্জিলিং নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে বিজেপির ভরাডুবির পর পশ্চিমবঙ্গ ভাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। স্বামীর প্রস্তাব গুরুত্বহীন বলে দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন, দার্জিলিঙের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় বিজেপি। কিন্তু কী সেই স্থায়ী সমাধান, তা খোলসা করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন,''সুব্রহ্মণ্যম স্বামী থাকেন চেন্নাইয়ে। ওনার সঙ্গে গোর্খাল্যান্ডের কী সম্পর্ক? বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট, ১৫ লক্ষ গোর্খা থাকেন দার্জিলিঙে। সারা ভারতে থাকেন ১ কোটি ২৫ লক্ষ গোর্খা। ভারতে তাঁদের ভাষা ও সংস্কৃতি সুরক্ষিত। দার্জিলিঙের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য লড়ছে বিজেপি।''
দিল্লিতে বিজেপির হার নিশ্চিত হওয়ার পর রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদের পরামর্শ,''২০১৪ সাল থেকে সংগঠনের কাঠামো নিয়ে নজর দেওয়ার দরকার। অনেক রাজ্যে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখতে পারিনি। গোর্খাল্যান্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হোক।''
পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে গোর্খাল্যান্ডের দাবি দীর্ঘদিনের। দার্জিলিংকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সুভাস ঘিসিং। পরে সেই আন্দোলনকে এগিয়ে যান গোর্খা জনমুর্তি মোর্চার বিমল গুরুং। দার্জিলিং, তরাই-ডুয়ার্স নিয়ে আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি করে আসছে পাহাড়বাসীর একাংশ। সেই আবেগ ভাঙিয়ে ২০১৪ সালে দার্জিলিং থেকে জয়ী হন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তাঁকে সমর্থন দিয়েছিল জেএমএম। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করতেও শোনা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদকে। ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ভুলে হাত মেলায় জেএমএম ও জেএনএলএফ। বিজেপির প্রতীকে তাদের প্রার্থী রাজু বিস্ত জয়লাভ করেন দার্জিলিঙে।
আরও পড়ুন- মনে পড়ে মমতা, ২০০৯ সালে মেট্রো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবকে ডাকেননি: মুকুল