একান্ত সাক্ষাৎকারে 'দাবাং দিলীপ'-এর মুখোমুখি ২৪ ঘণ্টা ডট কম। সোজা প্রশ্নের সোজা জবাব। ঘণ্টা খানেকের ইন্টারভিউ-এর মুচমুচে 'অংশ', তৃণমূলে যাওয়ার প্রস্তাব থেকে বিধানসভায় ভালো বন্ধু কে, 'প্রসঙ্গ লকেট'... আমতা আমতা না করে তীক্ষ্ণ উত্তর দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলে বন্ধু আছে আপনার? 


হ্যাঁ, আছে। নীহার ঘোষ। মালদার এমএলএ। জিতলেন জোটের হয়ে, এখন তৃণমূলে গিয়েই চেয়ারম্যান হয়ে গেলেন। বন্ধুত্ব আছে খুব। ববি দা (ববি হাকিম, রাজ্যের মন্ত্রী), মান্নান বাবু (আব্দুল মান্নান, বিরোধী দলনেতা), সুজন চক্রবর্তী (বিধানসভার বাম পরিষদীয় নেতা) সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক। একদিন তো একদিক থেকে ববি দা আরেক দিক থেকে মান্নান দা, দুজনে মিলে আমাকে চিপে ধরেছে, বলছে দুই মুসলমান মিলে তোমাকে চিপে দেবে। আমি হেসে বললাম জামার রঙটা (গেরুয়া) দেখেছেন তো, ছোঁয়া লেগে যাবে কিন্তু, সাবধান। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব যেমন হয় তেমন আবার ভয়ও পায়। কারোর সঙ্গে কথা বললেই কানাঘুষো শুরু হয়ে যায়, 'বিজেপি তে আসছে নাকি'? 


অধীর রঞ্জন (রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি) আসছে বিজেপিতে?
অধীরবাবু তো অনেক বড় ব্যপার। আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।


বামেদের কেউ বিজেপিতে আসছে? 
বাম-ডান সবই আছে। সবাই জল মাপছে। সমস্যাটা হচ্ছে যদি এখন বিজেপিতে যোগ দেয় তাহলে পদ চলে যাবে। আবার নির্বাচন করতে হবে। ওরা (তৃণমূল) ক্ষমতায় আছে, স্পিকার ওদের, ৫ জনকে নিয়ে গেছে, কায়দা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা করলে দলবদলের আইনে পড়ে যাবে।  


বিধানসভায় পছন্দের নেতা কে? মুখ্যমন্ত্রী? 
(একগাল হাসি হেসে উত্তর) মুখ্যমন্ত্রী তো বিধানসভাতেই আসেন না। আসলে আমার সঙ্গেই ঝগড়া হয় সবথেকে বেশি। উনি ওপাশ থেকে বলেন আমি এপাশ থেকে বলি। কংগ্রেসের মান্নান বাবু ভালো। উনি বিরোধী দলনেতা, আমারও নেতা। তারপর সুজন চক্রবর্তী, কিন্তু এরা অনেক বেশি চাতুরী করে। পার্থ বাবু... 


তৃণমূলে যাওয়ার প্রস্তাব আসেনি? 
এখনও যখন আড্ডা হয়, আমাকে বলে কবে টিএমসি জয়েন করছ? আমি বললাম, আমাকে নিয়ে কি পার্টিটাই তুলে দিতে চাও। এই তো সেদিনও... স্পিকারের ঘরে আলোচনার মূল বিষয় দিলীপ। আধ ঘণ্টা আলোচনার পর শেষে পৌঁছলে লকেটে... (অভিনেত্রী তথা রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী)