অঞ্জন রায়: গত বিধানসভায় খড়্গপুর সদর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। হারিয়েছিলেন দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের হেভিওয়েটপ্রার্থীকে। মেদিনীপুরের সাংসদ হওয়ার পর খড়্গপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওই কেন্দ্রেই চলতি মাসে উপনির্বাচন। আর উপনির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াই করতে চলেছে বাম-কংগ্রেস। দিলীপের আসনটি ছাড়া হয়েছে কংগ্রেসকে। কিন্তু এর মধ্যেই ওই আসনটি ছাড়তে চেয়ে সনিয়া চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। আর এনিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, অধীর চৌধুরী তৃণমূলের বিরোধিতা করছেন। আবার কার্নিভালে থাকছেন মান্নান। আগে নিজেরা ঠিক করুন কী চান? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর ও করিমপুরে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আগেই বৈঠকে বসেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। ওই বৈঠকেই জোট নিয়ে পড়েছে শিলমোহর। সেই মতো আলিমুদ্দিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর আসন ছাড়া হবে কংগ্রেসকে। করিমপুরে প্রার্থী দেবে সিপিএম। কিন্তু খড়্গপুর ছাড়তে চেয়ে আবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''কংগ্রেসের অবস্থা চিরদিনই এমনটাই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ দাগছেন অধীরবাবু। সেইসময় কানির্ভাল দেখছেন আবদুল মান্নান। বিজেপিকে আটকাতে হবে। সনিয়াকে চিঠি দিচ্ছেন। ওরাই আলোচনা করে ঠিক করুন।'' দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, আগামীবার বিধায়ক হওয়ার রাস্তা খোলা রাখছেন মান্নান। খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলে যোগ দেবেন। 



আলিমুদ্দিনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যাবেন নেতারা। কংগ্রেসের প্রচারে দেখা যাবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে। আবার করিমপুরে সিপিএমের প্রচারে অংশ নেবেন সোমেন মিত্র। ২০২১ সালে ময়দানে নামার আগে জোটের বন্ধন মজবুত করতে ও মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই এহেন সিদ্ধান্ত বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।


আরও পড়ুন- ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রে বিলীন হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, মেদিনীপুর ও মুম্বই