অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাদবপুরে কি ছাত্রবিক্ষোভ সুবিধা করে দিল বিজেপিকে? রাজ্যবাসীর বড় অংশের সহানুভূতি কেড়ে নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। মোহন ভাগবতের সঙ্গে আলোচনায় দিলীপ ঘোষ অন্তত যা বলেছেন, মানেটা সেটাই দাঁড়ায়। 


বৃহস্পতিবার যাদবপুরে এবিভিপি-র নবীনবরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে মারধর, চুল ধরে টানা হয় বলে অভিযোগ। সাড়ে ৬ ঘণ্টা আটক থাকার পর বাবুলকে বের করে আনেন রাজ্যপাল। গোটা ঘটনায় বাবুলকে দোষারোপ করেছে এসএফআই-সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। কিন্তু সূত্রের খবর, ঘটনায় গ্রাউন্ড রিপোর্টে উল্লসিত বিজেপি শিবির। 



কেন যাদবপুরের ঘটনায় উল্লসিত বিজেপি? সূত্রের খবর, এবিভিপি-র অনুষ্ঠান সেরে চলে যেতেন বাবুল। মিডিয়ার প্রচারও পেতেন না। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের 'আগ্রাসী আন্দোলন' বাবুলকে ব্যাপক প্রচার পাইয়ে দিয়েছে। আর রাজ্যের একাংশ গোটা ঘটনায় বাবুলের পক্ষেই বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। তারা মনে করছেন, ঘটনায় আগামী দিনে যাদবপুরে গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের জমি পোক্ত হতে চলেছে। যাদবপুরের মাটিতে তো এতদিন গেরুয়া ঝান্ডা ধরার লোকও ছিল না। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা গিয়েছে। প্রচারে আসাই লক্ষ্য ছিল। এটাই সাফল্য। 


রাজ্য সফরে আসা মোহন ভাগবতকে পড়ে পাওয়া ১৪ আনার মতো এমন সাফল্যের কাহিনি শোনালেন দিলীপ ঘোষ। সরসঙ্ঘচালককে দিলীপ বলেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখতে পেরেছে এবিভিপি। সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরেছে। যাদবপুরের ক্যাম্পাসে গেরুয়া পতাকা টাঙাতে পেরেছে সেখানকার এবিভিপি ইউনিট। সামনের দিনে আরও কয়েকটা ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার পর মহীরূহে পরিণত হয়েছে বিজেপি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম হবে না। 


এদিন রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের প্রসার নিয়েও কথা হয়েছে ভাগবত ও দিলীপের।                


আরও পড়ুন- জনসংযোগে বিধায়ক, সাংসদ ও কর্মীদের ১৫ কিলোমিটার হাঁটার নির্দেশ অমিতের