নিজস্ব প্রতিবেদন:  'কেন হঠাত্ রেল ট্রেন চালানো বন্ধ করল, তা বলতে পারব না। হয়তো পর্যালোচনা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' ৩০ জুন পর্যন্ত হঠাত্ করে সমস্ত ট্রেনের টিকিট বাতিল প্রসঙ্গে কার্যত ঢোক গিললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, "আমার মনে হয় যাতে এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রেল। সব কিছু খতিয়ে দেখেই ট্রেন চালানো সিদ্ধান্ত নেবে রেল। কেন্দ্র সেইভাবে ব্যবস্থা করছে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার রেলের নয়া নির্দেশিকা প্রসঙ্গে
উল্লেখ্য, আচমকাই রেলের তরফে একটি নির্দেশিকা দিয়ে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়, শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়া সব ট্রেনের টিকিট ৩০ জুন পর্যন্ত বাতিল করা হবে। এর আগে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয় আগামী ২২ মে থেকে ওয়েটিং লিস্ট চালু করছে রেল।  ১০০টি এসি থ্রি টিয়ার, ৫০টি এসি টু টিয়ার, ২০০টি স্লিপার ক্লাস, ১০টি ফার্স্ট এসি কামরা তালিকা নিয়ে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। তারপর হঠাত্ কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রশ্নের উত্তর সেভাবে দিতে পারলেন না দিলীপ ঘোষও।


রাজ্যের নতুন ১০৫ টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে
তবে মুখ্যমন্ত্রী হঠাত্ এখন কেন ১০৫ টি ট্রেন চালানো সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, "এখন মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ভাবছেন। এখন ১০৫ টি স্পেশ্যাল ট্রেন চালাবেন বলছেন, কিন্তু আগে কেন ভাবেননি? আগে কেন মাত্র ৮টি স্পেশ্যাল ট্রেনের কথাই বলেছিলেন, উনি সবই দেরিতে বোঝেন!"তিনি আরও বলেন, "সমস্ত রাজ্যের তরফ থেকে তো কেন্দ্রের কাছে ট্রেন চালানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। প্রায় ৪০০ ট্রেন চলল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মাত্র  ১০টা। এখন উনি সব কিছুই দেরিতে বোঝেন! তাই রাজ্যের এই অবস্থা।"


বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে
আগামী সপ্তাহ থেকেই বেসরকারি বাস, মিনিবাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তবে সেক্ষেত্রে যাত্রী থাকবেন মাত্র ২০ জন। আর তাই ভাড়া তিন গুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন বাসমালিকরা।


বেসরকারি বাস, মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ভাড়া বাড়ানো বাস মালিকদের সিদ্ধান্ত। তিনি এও বলেছেন এই বর্ধিত ভাড়া যাঁরা দিতে পারবেন, তাঁরা বাসে উঠবেন। তাহলে প্রশ্ন, যাঁরা পারবেন না, তাঁরা কি বাড়িতে বসে থাকবেন?"